অবৈধভাবে গঠিত বিএনপি আজ গণতন্ত্রের কথা বলে : মির্জা আজম
প্রকাশিতঃ 6:41 pm | May 19, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেছিল জিয়াউর রহমান। সপরিবারে হত্যার পর বিচারপতি সায়েমকে তার বঙ্গভবনে গিয়ে গভীর রাতে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বুকের মধ্যে পিস্তল ঠেকিয়ে তাকে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অসুস্থতার দায়ে পদত্যাগ করে নিয়ে অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল জিয়াউর রহমান।
তিনি বলেন, সেই জিয়াউর রহমানের অবৈধভাবে গঠিত বিএনপি আজ গণতন্ত্রের কথা বলে, গণতন্ত্র উদ্ধারের কথা বলে। গণতন্ত্র হরণকারীদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না।
বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশের নির্দেশে শুক্রবার (১৯ মে) যাত্রাবাড়ী কাজলা ব্রীজ মসজিদ সংলগ্নে মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশে মির্জা আজম এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ১৯৮১ সালের ৩০ মে আগ পর্যন্ত জিয়াউর রমান যতদিন বেঁচে ছিল ততদিন এদেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছিল জিয়াউর রহমান। ১৯৯১-৯৬ এবং ২০০১-২০০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থেকে অত্যাচার-নির্যাতন, গুম, খুনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। ২০০৪ সালের ২১শে আগস্টে ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আইভী রহমানসহ ২৪ জন নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছিল। তাদের সেই সময়ে দুর্বিসহ দিন কাটিয়েছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। ঘরে ঘুমাইতে পারে নাই, ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারতো না, প্রতিটি নেতা-কর্মীর নামে ডজন ডজন মামলা দিয়েছিল। আমার নামেও প্রায় তিন ডজন মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিল।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, আর আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। বিএনপি-জামাতের নেতা-কর্মীরা বহাল তবিয়াতে রয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য করছে, আন্দোলন করছে আওয়ামী লীগ তাদেরকে বাধা দেয় না। এটাই গণতন্ত্র। এটাই বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার মানবিকতা।
‘টানা ১৫ বছর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে সর্বক্ষেত্রে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে, আজ মাথা পিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গিয়েছে, শিক্ষার মান বৃদ্ধি পেয়েছে, নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি পেয়েছে, সাধারণ মানুষ ভালো আছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তবতা, আমাদের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ।’
তিনি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, অতীতে যেভাবে রাজপথে থেকে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেছেন, সামনের দিনগুলোতেও একইভাবে রাজপথে থেকে বিএনপি-জামাতের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করতে হবে।
শান্তি সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল ও ঢাকা-৫ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মনিরুল ইসলাম মনু এমপি। উক্ত শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা এবং সঞ্চালনা করেন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় থাকলে দেশে অগ্নিসন্ত্রাস, খুন, গুম, রাহাজানি বৃদ্ধি পায়। সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা থাকে না। তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা জনগণের পাশে আছি, তাদের বিপদে-আপদে সহায়তা করছি, সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় নিয়োজিত। আর সেই কারণেই আজকের এই শান্তি সমাবেশ। বিএনপি-জামাত জঙ্গিগোষ্ঠী যেন মানুষের জানমালের ক্ষতি সাধণ, তাদের শান্তি নষ্ট করতে না পারে সে দিকে যুবলীগের নেতা-কর্মীদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। যেখানেই বিএনপি-জামাত অন্যায়-অত্যাচার করবে সেখানেই কঠোরভাবে প্রতিহত করতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন- ঢাকা-৫ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মনিরুল ইসলাম মনু এমপি। আরও বক্তব্য রাখেন, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ শামছুল আলম অনিক, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্য, কার্যনির্বাহী সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মুক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল, এবিএম আরিফ হোসেন, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণেল সহ-সভাপতি, সোহরাব হোসেন স্বপন, আনোয়ার ইকবাল সান্টু, হারুনুর রশীদ হারুন, নাজমুল হোসেন টুটুল, আবু সাঈদ মোল্যা, সৈয়দ আহমেদ, মুরসালিন আহমেদ, যুগ্ম-সম্পাদক জাফর আহমেদ রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু, মোঃ মাকসুদুর রহমান, কাজী ইব্রাহিম খলিল মারুফ, প্রচার সম্পাদক আরমান হক বাবু, দপ্তর সম্পাদক এমদাদুল হক এমদাদ, অর্থ সম্পাদক ফিরোজ উদ্দিন আহমেদ সায়মন, উপ-দপ্তর সম্পাদক খন্দকার আরিফ-উজ-জামান, উপ-শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক আলতাফ হোসেন, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ফালান, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।

কালের আলো/বিএস/এমএন