প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় বিশেষ গুরুত্ব ডিএমপি কমিশনারের

প্রকাশিতঃ 7:09 pm | December 23, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তায় বিশেষ গুরুত্বের কথা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী সবসময়ই ঝুঁকির মধ্যে থাকেন, এর আগে অনেকবার প্রাণনাশের চেষ্টা হয়েছিল। আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি বেঁচে গেছেন। এ জন্য আমরা তার নিরাপত্তাকে সবসময়ই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিই।

শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আগামীকাল শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ দেবেন, সারা দেশ থেকে লক্ষাধিক নেতাকর্মী আসবেন। তার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে কিনা, লক্ষ রাখা হবে।

তিনি আরও বলেন, আগামীকালের নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে আমাদের ফোর্স ডিপ্লয়মেন্ট করেছি। আমাদের এসবি-র‍্যাবসহ সবাই মিলে এই ভেন্যুতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছি। প্রতিটা গেটে আর্চওয়ে ও সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছি। এ ছাড়া আমাদের ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে চারদিকে সুইপিং, ম্যানুয়াল সুইপিং করা হবে। সাদা পোশাকে সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন। এক কথায় আমরা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছি, যাতে আওয়ামী লীগ উৎসবমুখর পরিবেশে কাউন্সিল সম্পন্ন করতে পারে।

খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, অন্যবারের তুলনায় এবারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশি। তাহলে ডিএমপি কি কোনও হুমকি বিবেচনা করে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আপনারা জানেন বিশ্বে যত বড় রাজনৈতিক নেতা আছেন, তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন সবচেয়ে বেশি হুমকিতে। ’৭১-এর পরাজিত শক্তিরা বারবার তার প্রাণনাশের চেষ্টা করেছে। অনেক প্রমাণ আপনাদের কাছে আছে। যেমন ২১ আগস্ট ও টুঙ্গীপাড়ার ঘটনা। এসব সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানোসহ সব খুঁটিনাটি বিষয় মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজিয়েছি, যাতে তার নিরাপত্তার কোনও অসুবিধা না হয়।’

সম্প্রতি দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনা ও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কোনো ধরনের নিরাপত্তা হুমকি আছে কি না? প্রশ্ন করা হলে কমিশনার বলেন, জঙ্গি ছিনতাই, নতুন জঙ্গি সংগঠনের উত্থান ও সুনির্দিষ্ট কোনো থ্রেট আছে বলে মনে করি না। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান শুরু করেছি। ইতোমধ্যে ওই জঙ্গিদের বেশ কয়েকজন সহযোগী এবং অন্য গ্রুপের বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছে। আশা করি জঙ্গিদের তরফ থেকে কোনো থ্রেট থাকবে না। যতবারই মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করেছে, আমরা ততবারই জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। ভবিষ্যতেও সক্ষম হবো।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজবের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমাদের ডিবিতে সাইবার ক্রাইম ইউনিট ও সিটিটিসিতে সাইবার ইউনিট আছে। অন্যান্য সংস্থারও সামাজিক মাধ্যম মনিটরিং করার ইউনিট আছে। মনিটরিং করে যাচ্ছি। আশা করব সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়িয়েও সমাজে কোনো অস্থিরতা তৈরি করতে পারবে না।

কালের আলো/এসবি/এমএম

Print Friendly, PDF & Email