জিয়াউর রহমানের সামরিক আদালতে সাজা কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট

প্রকাশিতঃ 4:43 pm | October 18, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসনামলে তেরো শতাধিক সদস্যকে ফায়ারিং স্কোয়াডে দেয়া মৃত্যুদণ্ড কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পদ-পদবি অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্তদের বকেয়া বেতন, পেনশনসহ অন্যান্য সুবিধা না দেয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে।

এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি শেষে মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলী এ রুল জারি করেন।

সংশ্লিষ্ট কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বিমান বাহিনীর এক বিদ্রোহের ঘটনায় সামরিক আদালতে দণ্ডের ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিট আবেদনে ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর সামরিক আদালতে দণ্ডিতদের চাকরির স্বাভাবিক অবসর গ্রহণ পর্যন্ত বেতন, অন্যসব সুবিধা, পেনশন পাওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। ওই সামরিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিমান বাহিনীর সার্জেন্ট সাইদুর রহমানের ছেলে মো. কামরুজ্জামান মিঞা লেলিনসহ বিমান বাহিনীর ১৪ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত সেনা ও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাদের সন্তানসহ ৮৮ জনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মতিউর রহমান রিট আবেদনটি দায়ের করেন।

রিটে প্রতিরক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বিমান বাহিনীর প্রধানকে বিবাদী করা হয়। ১৯৭৬ সালে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করেন। তার পরের বছর তিনি রাষ্ট্রপতির পদও দখল করেন। জিয়া ক্ষমতা দখলের পর সামরিক বাহিনীতে অনেকগুলো বিদ্রোহ-অভ্যুত্থানের চেষ্টা চলেছিল, যাতে জড়িতদের সামরিক আদালতে বিচার করে মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন সাজা দেওয়া হয়েছিল।

কালের আলো/ডিএসবি/এমএম

Print Friendly, PDF & Email