মিয়ানমার ফের গোলা ফেললে আন্তর্জাতিক ফোরামে জানাবো : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 3:02 pm | September 10, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে পড়ার ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমরা মিয়ানমারকে প্রথমে ডেকে বলেছি। এরপরে যদি (গুলি) আসে বিষয়টি আন্তর্জাতিক ফোরামে জানানো হবে।

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এসব কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মিয়ানমার সীমান্ত ক্রস করে কয়েকটি গোলা আমাদের সীমান্তের কাছাকাছি এসে পড়েছে। এজন্য আমরা মিয়ানমারকে প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমাদের বিজিবি তাদের বিজিপির কাছে প্রতিবাদ পাঠিয়েছে। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ম্যাসেজ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা রাষ্ট্রীয় এবং সব পর্যায়ে এর প্রতিবাদ করছি। আমরা মনে করি, এই ধরনের গোলা যেন না আসে সে ব্যাপারে মিয়ানমার সংযত হবে। কোনও গোলা যেন আর আমাদের সীমান্ত এলাকায় এসে না পড়ে সেজন্য খেয়াল রাখার জন্য তাদের বলা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্তে বেশ কয়েকটি ঘটনার কারণে আমরা মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এ বিষয়টি অবহিত করেছি। প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এরকম ঘটনা যেন পরবর্তীতে না ঘটে সেজন্য খেয়াল রাখার কথা বলা হয়েছে। এরপর যদি আবারও ঘটে পরবর্তীতে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তখনই এই বিষয়টি সম্পর্কে আপনাদের (সাংবাদিকদের) জানানো হবে।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) বিরুদ্ধে পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের অভিযোগ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বাবুল আক্তার যে অভিযোগ করেছেন সেগুলো বাস্তবসম্মত কি না, তা তদন্ত হলেই বোঝা যাবে। পিবিআইর ওপর আমাদের ভরসা আছে।

মন্ত্রী বলেন, পিবিআই যতগুলো অনুসন্ধান করেছে সবগুলোই বাস্তবসম্মত এবং অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে তারা অনুসন্ধান করেছে। ৩০ বছর আগের খুনের মামলারও তারা আসামি চিহ্নিত করেছে এবং আসামি গ্রেপ্তার করেছে। পিবিআই যা করবে সেটা ভুল করবে না বলে আমার বিশ্বাস। বাবুল আক্তার যে প্রশ্নগুলো তুলেছেন আমার মনে হয় তদন্তের পর আপনারা সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

তিনি বলেন, ‘বাবুল আক্তারের বিষয়টা যেহেতু পিবিআইর কাছে তদন্তাধীন, তাই তদন্ত শেষ করার আগে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। বাবুল আক্তার যে কথা বলেছেন সেগুলো বাস্তবসম্মত কি না সেটা তদন্ত হলেই বোঝা যাবে।’

যারা তদন্ত করছেন তাদের প্রধানের বিরুদ্ধেই অভিযোগ, সেক্ষেত্রে তদন্তে গাফিলতির সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বাবুল আক্তার অত্যন্ত চতুর মানুষ। কাজেই সে কখন কি বলে সেটা তার ব্যাপার। এখানে আমার মন্তব্য নেই। তদন্তের পরেই সব চলে আসবে।

গুম বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেকে গুমের কথা বলে হাজার হাজার, তখন আমি বললাম লিস্ট দেন। এরপর মানবাধিকার সংস্থা থেকে লিস্ট এলো ৭৬ জনের। পরে দেখা গেলো এরমধ্যে ১০ জন বিএনপির অ্যাক্টিভিস্ট, যারা বিভিন্নস্থানে অবস্থান করছেন। এরমধ্যে ৩৫ জনকে আমরা নিজেরাই খুঁজছি, যারা জ্বালাও-পোড়াওয়ের সঙ্গে জড়িত, আবার একজনকে দেখা গেলো জেলে রয়েছেন। আরেকবার শুনলাম ৬০০ জন গুম, তাই আমি এর ডিটেইল চাই।

কালের আলো/এসবি/এমএম

Print Friendly, PDF & Email