বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে বয়সের বাধ্যবাধকতা চান না শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 5:31 pm | July 20, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

বর্তমানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে একবারই ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ আছে। কোথাও কোথাও দুবারের সুযোগ রাখা হয়েছে। আবার শিক্ষার বিভিন্ন স্তরের কোথাও কোথাও ভর্তিতে বয়সেরও বাধ্যবাধকতা আছে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি চান, ভর্তিতে বয়স ও সময়ের এই বাধ্যবাধকতা উঠিয়ে দেওয়া হোক।

তিনি বলেছেন, উচ্চশিক্ষার সুযোগ সারা বিশ্ব যখন অবারিত করছে, তখন কেন আমরা দেয়াল তুলছি?

বুধবার (২০ জুলাই) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সম্মেলন ও উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

দীপু মনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়ে অনেক কিছু করার আছে। যখন সারা বিশ্ব সব কিছুতে সুযোগ অবারিত করার কথা বলছে, মানসম্মত শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে আমরা যখন বলছি জীবনব্যাপী শিক্ষা, তখন আমরা সব জায়গায় কেন দেয়াল তুলছি? কেন নির্দিষ্ট বয়সে ভর্তির কথা বলছি।

তিনি বলেন, কেন বলছি, একবারের বেশি ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবো না? আমি আইন নিয়ে পড়েছি, কেন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়তে পারবো না? ডিপ্লোমায় আছি, কেন সাহিত্য নিয়ে পড়তে পারবো না? কেন নির্দিষ্ট বয়সের পর আর ভর্তি হতে পারবো না। কেন একবারের বেশি ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবো না। এ বিষয়গুলো দেখতে হবে। শিক্ষার্থীর জীবনের সব পথ বন্ধ করে দেওয়া– এটা বোধহয় ঠিক না।

শিক্ষার মানোন্নয়নের বিষয় তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শুধু শিক্ষার্থী ভর্তি করছি। আমার কতটা জায়গা আছে, কত শিক্ষার্থীকে সব ধরনের সুবিধা দিয়ে সঠিক শিক্ষার পরিবেশ দিতে পারবো তা মাথায় নিচ্ছি না। কত বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারছি তা নিয়ে আমরা ব্যস্ত।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বারবার বলছেন, ফিজিক্যাল মাস্টারপ্লান ও অ্যাকাডেমিক মাস্টারপ্লানের কথা। একশ’ বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয় যে বিষয়টি খুলেছিল সেটি আজও একইভাবে প্রাসঙ্গিক কিনা– সেটি দেখতে হবে।’

অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল প্রসঙ্গে দীপু মনি বলেন, এতে যে শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান নির্ণয় করা হচ্ছে তাই নয়, প্রতিষ্ঠান নিজেই সেলফ অ্যাসেসমেন্ট প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নিজেই মান বাড়াতে পারে। অনেক কিছু শেখা হবে। আমাদের অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের পথচলা শুরু হয়েছে। তার সুফল সব প্রতিষ্ঠান পেতে শুরু করবে। শিক্ষার প্রতিটি ক্ষেত্রে সবকিছু প্রায় গুছিয়ে আনার একটি কাজ হয়েছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দীক ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ।

কালের আলো/এসবি/এমএম