গণপরিবহনে হয়রানির শিকার ৬৩ শতাংশ নারী

প্রকাশিতঃ 5:53 pm | June 03, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

ঢাকার গণপরিবহনে কিশোরী ও তরুণীরা বেশি হয়রানীর শিকার হচ্ছে মধ্যবয়সী পুরুষ যাত্রীদের হাতে। এছাড়া, সহযোগিতা করার কথা বলেও নারীদের স্পর্শ করার চেষ্টা করে পরিবহনকর্মীরা। এসব হয়রানির শিকার কিশোরী-তরুণীরা এ কারণে রীতিমতো মানসিকভাবে অসুস্থ হয়েছে পড়ছেন।

গত ৬ মাসে ঢাকার গণপরিবহনে ৬৩ দশমিক ৪ শতাংশ নারী বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হয়েছেন।

শুক্রবার (৩ মে) আঁচল ফাউন্ডেশন ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায়। সংগঠনটির গবেষণা-জরিপে উঠে এসেছে এ সংক্রান্ত অনেক তথ্য।

গবেষণায় দেখা গেছে, ৪৬ দশমিক ৫ শতাংশ নারী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ বুলিং, ১৫ দশমিক ২ শতাংশ সামাজিক বৈষম্য, ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ লিঙ্গ বৈষম্য এবং ৮ দশমিক ২ শতাংশ বডি শেমিংয়ের শিকার হয়েছেন।

জরিপ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গাড়ির হেলপারের হাতে ২০ দশমিক ৪ শতাংশ নারী হয়রানির শিকার হয়েছেন। ৩ শতাংশ হয়েছেন হকারের মাধ্যমে এবং ১ দশমিক ৬ শতাংশ চালকের মাধ্যমে হয়রানির শিকার হয়েছেন।

গবেষণায় আরও দেখা গেছে, মধ্যবয়সী পুরুষ যাত্রীদের হাতেই কিশোরী ও তরুণীরা বেশি হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। এসব কারণে অনেক কিশোরী-তরুণী মানসিকভাবে অসুস্থ হয়েছে পড়ছেন।

জরিপে অংশগ্রহণকারী বেশির ভাগ নারী ঝামেলা এড়াতে এসব ঘটনার প্রতিবাদ করেননি। মাত্র শূণ্য দশমিক ৫ শতাংশ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে উদ্যোগ নিয়েছেন।

গণপরিবহনে সিটের অতিরিক্ত লোক নেওয়ার ফলে যৌন হয়রানি বাড়ছে বলেও জরিপ উঠে এসেছে।

গণপরিবহনে হয়রানি রোধে আঁচল ফাউন্ডেশনের ১০ দফা প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- পরিবহনে আসনের বেশি যাত্রী না তোলা, গণপরিবহনের ভেতর ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন, গণপরিবহনের সংখ্যা বাড়ানো, নারীদের জন্য আলাদা পরিবহনের ব্যবস্থা করা, বাসের চালক, তত্ত্বাবধায়ক ও সহকারীর পরিচয় উল্লেখ করে নেমপ্লেট বাধ্যতামূলক করা, দ্রুত বিচার নিশ্চিত করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম নেওয়া ইত্যাদি।

কালের আলো/এমএইচ/এসবি