পশ্চিমবঙ্গে ৩ দিনের রিমান্ডে পি কে হালদার

প্রকাশিতঃ 12:57 pm | May 15, 2022

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কালের আলো;

বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ পালিয়ে যাওয়া প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদারকে তিনদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন ভারতের ব্যাঙ্কশাল স্পেশাল সিবিআই আদালত।

শনিবার (১৫ মে) গভীর রাতে তিনিসহ গ্রেফতার অপর চারজনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। তাদের সঙ্গে গ্রেফতার নারীকে জেলে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, পি কে হালদারকে ইডি হেফাজতে রেখে ম্যারাথন জেরা চালিয়ে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছেন ইডি কর্মকর্তারা।

প্রশান্ত হালদার মামলায় একে একে জড়াচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের রাঘববোয়ালদের নাম। কখনও উঠে আসছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির নাম, কখনও বা শাসক দলের নেতাদের নাম। বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার পর স্থানীয় প্রভাবশালীদের হাত ধরে পি কে হালদার এবং তাঁর সহযোগীরা ভারতের জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে ফেলা থেকে শুরু করে রেশন কার্ড ও অন্যান্য পরিচয়পত্র বানিয়ে ফেলে বলেও প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।

ইডি’র প্রাথমিক তদন্তে প্রথমেই উঠে আসে রাজ্যের এক প্রভাবশালী নেতার নাম। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে শুরু থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে উঠে আসে—স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় এবং তাদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার মাধ্যমেই বাংলাদেশ সীমান্তের এত কাছে গা ঢাকা দিয়েছিলেন পি কে হালদার এবং তাঁর সহযোগীরা। সূত্রের খবর—মামলাটির গুরুত্ব অনুধাবন করে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই এ মামলায় ইডি’র পাশাপাশি যোগ দিতে পারে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা-সিবিআই ও সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিস-এসএফআইও।

ইডি জানিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা অশোকনগরে বসবাস করতেন প্রশান্ত কুমার হালদার, তার ভাই গনেশ হালদার, ইমাম হোসেন, স্বপন মৈত্র, উত্তম মৈত্র ও আমানা সুলতানা। আমানা সার্লি হালদার নামধারণ করে সেখানে বসবাস করতেন। তাকেই জেলে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু, তাকে কতদিন জেলে রাখা হবে; জানা যায়নি।

ব্যাংক জালিয়াতির ঘটনায় পিকে হালদারের বিষয়ে ২০১৯ সালে রেড অ্যালার্ট জারি করেছিল বাংলাদেশ সরকার। ভারতীয় গোয়েন্দা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে কানাডা, কখনও কলকাতা; আবার কখনো উত্তর ২৪ পরগনা যাতায়াত করেছেন পিকে হালদার। এর মধ্যেই তিনি ভারতীয় নথিগুলো তৈরি করেন। নাম পাল্টে হয়ে যান শিব শংকর হালদার। এ নামে কয়েকবার তিনি বাংলাদেশেও যাতায়াত করেন।

চলতি বছরের মার্চের শেষে যশোরের বেনাপোল হয়ে উত্তর ২৪পরগনা অশোকনগরে চলে যান পিকে হালদার। তখনই ভারতীয় গোয়েন্দাদের নজরে আসেন তিনি। তার ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি নিশ্চিত হয় গোয়েন্দা সদস্যরা। আর্থিক বিষয় হওয়ায় দেশটির ইডি’র কাছে এ সম্পর্কিত নথি পাঠায় গোয়েন্দা দপ্তর। তাদের তদন্তের ধারাবাহিকতায় গ্রেফতার হন পিকে হালদার ও তার সহযোগীরা।

কালের আলো/এসআরবি/এমএম

Print Friendly, PDF & Email