শ্রীলঙ্কায় ‘সহিংসতাকারীদের’ দেখামাত্র গুলির নির্দেশ
প্রকাশিতঃ 9:14 am | May 11, 2022

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কালের আলো:
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মহিন্দা রাজপাকসের পদত্যাগ এবং বিরোধীদের বিক্ষোভের মুখে কলম্বো ত্যাগের পর সহিংসতাকারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দিয়েছে রাজাপাকসে সরকার।
মঙ্গলবার (১০ মে) সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ নির্দেশ দিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নলিন হেরাথ বলেন, কাউকে সরকারি সম্পত্তি লুটপাট বা মানবজীবনের ক্ষতি করতে দেখলে, নিরাপত্তা বাহিনীকে গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শ্রীলঙ্কার পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার বিক্ষোভকারীরা কলম্বো উপকণ্ঠে সরকার দলীয় এমপি অমরাকীর্তি আথুকোরালার গাড়িতে হামলা চালালে তিনি দুজনকে গুলি করেন। এতে একজন মারা যান। এরপর সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা তাকে ঘিরে ধরেন। পরে নিজের পিস্তল দিয়ে আত্মহত্যা করেন অমরাকীর্তি।
ওই রাতে হোমগমার মহাকুম্বুরা এলাকায় সংসদ সদস্য কুমারা ওয়েল্গামার গাড়িতে হামলা চালিয়েছে একদল বিক্ষোভকারী। এতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ওই এমপি।
হামলার শিকার হয়েছেন লঙ্কান পুলিশের সিনিয়র ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (এসডিআইজি) দেশবন্ধু টেন্নাকুন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
তার আগে শ্রীলঙ্কায় সামরিক বাহিনী ও পুলিশের হাতে জরুরি ক্ষমতা ন্যস্ত করা হয়েছে। এই ক্ষমতার ফলে তারা যেকোনো লোককে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করতে পারবে। সোমবার সহিংসতায় সাতজন নিহত ও অন্তত ২০০ লোক আহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সহিংসতার কারণে প্রধানমন্ত্রী মহিন্দা রাজপাকসে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। তবে তার পদত্যাগেও সহিংসতা বন্ধ হয়নি। ক্ষুব্ধ জনতা তাঁরসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে। বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী হেনস্তার শিকারও হয়েছেন। বিক্ষোভকারী প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজপাকসের পদত্যাগ দাবি করছে
শ্রীলঙ্কার বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মহিন্দা রাজাপাকসে প্রাণ বাঁচাতে ত্রিঙ্কোমালির নৌঘাঁটিতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার ভোররাতে ক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে তাকে রক্ষা করতে তার বাসভবন থেকে সরিয়ে নেয় সেনাবাহিনী। তবে বাণিজ্যিক রাজধানী কলম্বোতে নতুন করে সহিংসতা না হলেও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
কালের আলো/বিএস/এমএইচ