ইলিশ মানুষের সাধ্যের মধ্যে আনা সরকারের লক্ষ্য : মৎস্য মন্ত্রী
প্রকাশিতঃ 9:15 pm | March 30, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে ইলিশ দেশের সব মানুষের সাধ্যের মধ্যে নিয়ে আসা সরকারের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
তিনি বলেছেন, মৎস্যজীবী, ইলিশ ব্যবসায়ী, আড়তদার, ভোক্তাসহ সকল শ্রেণির জনগণের মাঝে জাটকা রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরা এবং এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ বছরও ৩১ মার্চ থেকে ০৬ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ, ২০২২ উদ্যাপন করা হচ্ছে।
বুধবার (৩০ মার্চ) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ বছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ হয়েছে ‘ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ, জাটকা ধরলে সর্বনাশ’। এ বছর দেশের ইলিশ সম্পৃক্ত ২০টি জেলায় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ, ২০২২ এর কাযর্ক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, জনসাধারণের পুষ্টি চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল রাখা এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ইলিশ মাছের গুরুত্ব অপরিসীম। বিশ্বের মোট উৎপাদিত ইলিশের প্রায় ৮০ শতাংশের বেশী আহরিত হয় এদেশের নদ-নদী, মোহনা ও সাগর থেকে। এ কারণে বাংলাদেশের ইলিশ দেশের জি আই পণ্যের মর্যাদা পেয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের প্রায় ৬ লক্ষ লোক ইলিশ আহরণে সরাসরি নিয়োজিত এবং ২০-২৫ লক্ষ লোক ইলিশ পরিবহণ, বিক্রয়, জাল ও নৌকা তৈরী, বরফ উৎপাদনসহ বিভিন্ন কাজে জড়িত। ইলিশের সাথে দেশের বৃহত্তর একটি জনগোষ্ঠীর সম্পৃক্ত।
ইলিশ সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার জাটকা আহরণ নিষিদ্ধ সময়ে জেলেদের জন্য ভিজিএফ খাদ্য সহায়তার পরিমাণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করেছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে জাটকা আহরণে বিরত ৩ লক্ষ ৭৩ হাজার ৯৯৬ টি জেলে পরিবারকে মাসিক ৪০ কেজি হারে ৪ মাসে ৫৬ হাজার ২২৫ মেট্রিক টন ভিজিএফ বিতরণ করা হয়েছে যা বিগত বছর হতে প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন বেশি। এবছর ১ম ধাপে মার্চ-এপ্রিল মাসের জন্য ৩ লক্ষ ৯০ হাজার ৭০০টি জেলে পরিবারের জন্য ৪০ কেজি হারে মোট ৩১ হাজার ২৫৬ মে.টন চাল বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে যা বিগত বছরের চেয়ে বেশি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব হাফছা বেগমসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
কালের আলো/ডিএসবি/এমএম