শতক হাঁকিয়েই ফর্মে ফিরলেন মমিনুল

প্রকাশিতঃ 4:38 pm | November 11, 2018

খেলা ডেস্ক, কালের আলো:

বারবার বলা হচ্ছিল তার ব্যাটে রান নেই। টানা চার টেস্টের আট ইনিংসে ব্যর্থ ছিলেন মমিনুল হক। দলে তার ভুমিকা শুধুমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে। কিন্তু আট ইনিংসে বলার মতো কোন রানই নেই। সর্বোচ্চ ছিলো ৩৩। এর মধ্যে পাঁচটিতে সিঙ্গেল ডিজিটে আউট। আরো সুনির্দিষ্ট করে বললে ঢাকা টেস্টের আগে পেছনের আট ইনিংসে তিনবার শূণ্য রানে আউট হয়েছিলেন মমিনুল হক। অন্য ফরমেটে মুলত তাকে এখন নির্বাচকরা বিবেচনা করেন না। খেলেন শুধুমাত্র টেস্ট ক্রিকেটে। নামের পাশে পদবীটা লেগে গেছে-টেস্ট স্পেশালিস্ট! তো এমন ব্যাটসম্যান এক নাগাড়ে আট ইনিংসে রান না পেলে দলের এবং টিম ম্যানেজমেন্টের দুঃশ্চিন্তা তো বাড়বেই! ঢাকা টেস্টে এসে সব দুঃশ্চিন্তা দুর করে দিলেন মমিনুল। হাঁকালেন সেঞ্চুরি।

মজার তথ্য হলো ঢাকা টেস্টের আগে মমিনুলের সর্বশেষ যে বড় রানের ইনিংস ছিলো সেটাও আর কিছু নয়; সেঞ্চুরিই ছিলো! চলতি বছরের শুরুতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের উভয় ইনিংসে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সেঞ্চুরির কৃতিত্ব গড়েন মমিনুল। সেটা ছিলো তার ক্যারিয়ারের পঞ্চম এবং ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। আর সপ্তম সেঞ্চুরির মালিক হলেন ১১ নভেম্বর, ঢাকা টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সবচেয়ে বেশি আট সেঞ্চুরির মালিক তামিম ইকবাল। ৫৬ টেস্টে আট সেঞ্চুরি নিয়ে শীর্ষে তামিম।

সিলেট টেস্টের উভয় ইনিংসে ব্যর্থতার পর ঢাকায় মমিনুলের কাছ থেকে একটা বড় রানের অপেক্ষায় ছিলেন ক্রিকেটামোদিরা। ক্রিকেটপ্রেমিদের সেই আনন্দের উপলক্ষ ঠিকই এনে দিলেন মমিনুল। ঢাকা টেস্টের শুরুটা অবশ্য হয়েছিলো মমিনুলের বিপদজনক কায়দায়। ৯ রানে থাকার সময় আউটের একটা সুযোগ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু গালিতে তার ক্যাচ হাতে রাখতে পারেননি চারি। সুযোগ পেলে সেটাকে কিভাবে কাজে লাগাতে হয়-তার চমৎকার একটা নমুনা দেখালেন মমিনুল এই টেস্টে। সেঞ্চুরির আনন্দে ভাসার আগ পর্যন্ত আর কোন সুযোগই দিলেন না জিম্বাবুয়ের বোলারদের। লাঞ্চ বিরতিতে যখন যায় বাংলাদেশ, তখন দলের রান ৫৬; যাতে মমিনুলের অবদান ২৫। চা বিরতির সময় দলের স্কোর ৩ উইকেটে ২০৭। যেখানে মমিনুলের অবদান ১৬৪ বলে অপরাজিত ১১৫ রান।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এটি মমিনুলের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি। ২০১৪ সালের নভেম্বরে চট্টগ্রাম টেস্টেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন এই বাঁহাতি। ক্যারিয়ারের সাতটি টেস্ট সেঞ্চুরির সবগুলোই মমিনুলের দেশের মাটিতে। যার পাঁচটি চট্টগ্রামে। দুটি ঢাকায়।

কালের আলো/ওএইচ