হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবে ইলিশের স্যুপ ও নুডলস

প্রকাশিতঃ 2:52 pm | January 25, 2018

কালের আলো ডেস্ক:

ইলিশ ভাজা, সর্ষে ইলিশ, ইলিশ ভুনা বা ইলিশের তরকারি সবাই খেয়েছে। তবে ইলিশের স্যুপ বা নুডলস কী খেয়েছেন কখনও? এবার সেই ইলিশ থেকে স্যুপ ও নুডলস বানানোর প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অধ্যাপক ড. এ কে এম নওশাদ আলম। ইলিশ সংরক্ষণের এই প্রযুক্তি বিশ্বে প্রথম বলে দাবি করেছেন তিনি।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম (বাউরেস) আয়োজিত ‘ইলিশের স্যুপ ও নুডুলস তৈরী’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা বুধবার বাকৃবির সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। বাউরেস পরিচালক প্রফেসর ড, এম.এ.এম.ইয়াহিয়া খন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আলী আকবর।

উদ্ভাবক নওশাদ আলম তার মূল প্রবন্ধে জানান, এক হাজার টাকা দামের একটি ইলিশ থেকে ছোট আকৃতির প্রায় ২০০ কিউব তৈরি করা সম্ভব। প্রতিটি কিউবের বাজারমূল্য ২০ টাকা। একটি কিউব দিয়ে ইলিশের হুবহু স্বাদের এক-দুজনের জন্য স্যুপ তৈরি করা সম্ভব। ইলিশের স্বাদ অপরিবর্তিত রেখে কিউবগুলোকে রেফ্রিজারেটরে এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে। তা ছাড়া ইলিশ দিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় নুডলস তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। বাজারে সচরাচর যে নুডলস পাওয়া যায়, তার থেকে হয়তো কিছুটা দাম বেশি পড়বে। তবে সাশ্রয়ী দামে বাণিজ্যিকভাবে ইলিশের নুডলসও বাজারজাত করা সম্ভব হবে।

ইলিশ অধিক আমিষ ও অধিক চর্বির মাছ। কিন্তু ইলিশের চর্বি মোটেও ক্ষতিকর নয়। চর্বিতে বিদ্যমান ওমেগা-৩ নামক অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখে।

ইলিশ মাছকে প্রক্রিয়াজাত করে এর মূল্যমান বৃদ্ধি করতে প্রায় দুই বছর ধরে গবেষণা করেছেন মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের মৎস্যপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক নওশাদ আলম।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ জসিমউদ্দিন খান, মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. গিয়াস উদ্দিন আহম্মদ ও ওয়ার্ল্ড ফিশ-বাংলাদেশ এর গবেষক ড. ভ্যান মার্টিন লুইস ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আলী আকবর বলেন, উৎপাদিত ইলিশ স্যুপ ও ইলিশ নুডুলস সংরক্ষণের মাধ্যমে সারা বছর ইলিশের স্বাদ পাওয়া যাবে। এই ইলিশ স্যুপ ও ইলিশ নুডলস রপ্তানি করা গেলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে এবং এ দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে।