‘ঐক্যফ্রন্টের অযৌক্তিক দাবি আমি হলেও মানতাম না’

প্রকাশিতঃ 5:36 pm | November 03, 2018

বিশেষ প্রতিবেদক, কালের আলো:

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী দাওয়াত দিয়েছেন। আমরা গিয়ে দাওয়াত খেয়ে চলে আসবো। আমি একা আলোচনা করবো, বলবো কতটি আসন দেবেন, আমার মনে হয় তিনি কথা রাখবেন। আর যদি না রাখেন তাহলে সেভাবে ব্যবস্থা নিবো।

শনিবার (৩ নভেম্বর) জামালপুর গুঠাইল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক জনসভা তিনি এসব কথা বলেন।

এরশাদ বলেন, আমরা কোনো তালিকা দেবো না, একটি জোট সংলাপে গিয়ে তালিকা দিয়েছে। সংবিধান সংশোধন হয়েছে তাদের এসব দাবী মানা সম্ভব না। যে কারণে সংলাপ ব্যর্থ হয়েছে।

এরশাদ আরও বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা সংবিধান সম্মত নয়। অযৌক্তিক এটা আমি হলেও মানতাম না।

তিনি বলেন, আমাকে বিনা বিচারে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছিলো। উনি (খালেদা জিয়া) এখন কোথায়, উনি এখন জেলে। উনি আর বের হতে পারবেন না। তার ছেলেও দেশে আসতে পারবে না। এবার সুযোগ এসেছে মাঠে আর কেউ নেই। এখন শুধু জাতীয় পার্টি আর আওয়ামী লীগ। আমার বিশ্বাস জাতীয় পার্টি ভালো করবে। আপনারা সঙ্গে থাকলে জাতীয় পার্টি ভালো করবে।

প্রতিহিংসার রাজনীতি বিশ্বাস করি না জানিয়ে এরশাদ বলেন, আমি জীবনের শেষ প্রান্তে এসেছি। উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মোস্তফা আল মাহমুদকে দেখিয়ে বলেন। একজন মানুষকে রেখে যাচ্ছি। তাকে আপনারা ভোট দিবেন। তাকে জয়ী করলে আমি জয়ী হবো, জাতীয় পার্টি জয়ী হবে, দেশ জয়ী হবে। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি বিশ্বাস করি না। আমরা ক্ষমতায় গেলে মানুষ সুখে শান্তিতে থাকবে। খুন-গুম বন্ধ হয়ে যাবে।

নেতাকর্মীদের ভোট কেন্দ্র পাহারা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, যেনো সিল মেরে ব্যালোট বক্স বিজয় ছিনিয়ে নিতে না পারে।

প্রধান বক্তা জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, এই প্রজন্ম জানেনা এরশাদের অবদান। আপনাদের তাদের জানাতে হবে। এরশাদ এলেই সুদিন ফিরবে।

প্রেসিডিয়াম সদস্য এমএ ছাত্তার বলেন, গতবার টিকেট কেটেও প্লাটফর্মেই থেকে গিয়েছিলাম। পরে লোকাল ট্রেনে উঠেছিলাম। পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ ওনি পার্টির হর্তাকর্তা, বিধাতা তাকে বলতে চাই, এবার যেনো আমরা মেইল ট্রেনে উঠতে পারি। এবার আমাদের কাছে টিকেট, ট্রেন প্লাটফর্ম সবেই রয়েছে। এবার যেনো ভুল না করি।

জনসভায় আরো বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আজম খান, এসএম ফয়সল চিশতী, মেজর অব খালেদ আখতার, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু প্রমুখ।

কালের আলো/ওএইচ

Print Friendly, PDF & Email