বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে এনে রায় কার্যকর করা হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 11:56 am | August 16, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো:

বিভিন্ন দেশে পলাতক বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে এনে রায় কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের মধ্যে দুজনের অবস্থান চিহ্নিত করা গেছে। আরও দুজন এখন কোথায় আছেন তা চিহ্নিত করা যায়নি। কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে তাদের দেশে এনে রায় কার্যকর করা হবে।

রোববার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর ধোলাইপাড় মোড়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শ্যামপুর-কদমতলী থানা জাতীয় পার্টি আয়োজিত স্মরণসভা ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হত্যার পর খুনিরা ঢাকায় বঙ্গবন্ধুকে সমাহিত করতে সাহস পায়নি। তাকে সমাহিত করা হলো টুঙ্গিপাড়ায়। তখন সে জায়গাটি ছিল অবহেলিত। আজ সেই টুঙ্গিপাড়া প্রেরণার উৎস।

তিনি বলেন, ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে ৭০’র নির্বাচন পর্যন্ত প্রতিটি আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অগ্রণী ভূমিকায় স্বাধীনতা অপরিহার্য হয়ে পড়ে। ছয় দফা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ডাকে বাঙালি জাতি এক হয়ে যায়। ৭০’র নির্বাচনে জয়লাভের পরও যখন পাকিস্তানিরা ক্ষমতা দিল না, তখনই বাঙালি জাতি ফুসে ওঠে। বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণেই সব পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন। তার অনুপস্থিতিতে কী করতে হবে, সে দিক-নির্দেশনাও দিয়েছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, বঙ্গবন্ধুর যোগ্য নেতৃত্বের কারণে আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে খুনিরা মনে করেছিল এদেশ আবার পরাধীন হবে। কিন্তু জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে দেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ।

তিনি বলেন, চাটুকারের দল এখনো ঘাপটি মেরে বসে আছে উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য। কিন্তু তা পারবে না। প্রয়াত পল্লীবন্ধু এরশাদ নিঃশর্তভাবে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে সমর্থন করে গেছেন। আমরা আমৃত্যু শেখ হাসিনার সুখ-দুঃখে পাশে আছি এবং থাকব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আজহার হোসেন, জাপার যুগ্ম-সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন দে, জাপার ভাইস চেয়ারম্যান সালমা হোসেন প্রমুখ।

কালের আলো/এআরবি/এমএম