ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমিনের জুম মিটিং, ৮ কারারক্ষী প্রত্যাহার
প্রকাশিতঃ 12:05 pm | July 02, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো:
ফের আলোচনায় ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমিন। কারাগারের অধীনে হাসপাতালে থাকাকালীন মোবাইল ফোন ব্যবহার ও জুম মিটিং করেছেন তিনি।
ওই সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) দায়িত্ব পালন করা একজন প্রধান কারারক্ষী, একজন সহকারী প্রধান কারারক্ষী ও ছয়জন কারারক্ষীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) রাতে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় কারা অধিদপ্তর থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ঢাকা বিভাগের ডিআইজি প্রিজন্স তৌহিদুল ইসলামকে প্রধান করে তদন্ত কমিটিতে মুন্সিগঞ্জের জেল সুপার নুরুন্নবী ভুইয়া ও নারায়ণগঞ্জের জেলার শাহ রফিকুল ইসলামকে সদস্য করা জানিয়ে তিনি বলেন, কমিটি আগামী সাত কর্মদিবসের তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ছাড়া প্রিজন্স সেলে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনের জন্য দায়িত্ব একজন ডেপুটি জেলার নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক।
এ ঘটনায় এর আগে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বলেছিলেন, কোনো কারারক্ষীর দায়িত্বে অবহেলা থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর অভিযোগ সত্য হলে রফিকুল আমিনের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডায়াবেটিসজনিত অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দুই মাস ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের প্রিজন সেলে আছেন রফিকুল আমিন। অসুস্থতার অজুহাত কাজে লাগিয়ে তিনি কারা তত্ত্বাবধানে থেকেও ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। জুম মিটিংয়ের সাম্প্রতিক কিছু ভিডিওতে দেখা যায়, নতুন এমএলএম ব্যবসার জন্য শিগগির এক হাজার ৩০০ মার্কেটিং এজেন্ট নিয়োগের কথা বলছেন তিনি। মিটিংয়ের ভিডিওতে তাকে ‘মিস্টার এ’ নামে দেখা গেছে, প্রোফাইল ছবিতে লেখা ছিল ইংরেজি হরফ ‘আর’। এতে ডেসটিনির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাও যুক্ত ছিলেন। মিটিংয়ে রফিকুল বলেন, কেরানীগঞ্জে (কারাগারে) যাওয়ার কারণে সেই কাজ (নিয়োগ) পিছিয়ে গেছে।
কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা অবস্থায় এপ্রিলে অসুস্থ হয়ে পড়েন রফিকুল। পরে তাকে বিএসএমএমইউর প্রিজন সেলে স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতালে তার নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেন দু’জন কারারক্ষী। বিএসএমএমইউ শাহবাগ থানা এলাকায় হওয়ায় পুলিশ সদস্যরাও এ বিষয়ে নজর রাখেন।
২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসটিনিরি এমডি রফিকুল আমিন ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই বছরের অক্টোবরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে চারবার ১১৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও ৯৬ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
কালের আলো/ডিএসকে/এমএম