স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মুফতি আমির হামজা
প্রকাশিতঃ 5:17 pm | May 31, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো:
রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ইসলামি বক্তা মুফতি আমির হামজা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৩১ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়ার আদালতে তিনি এই স্বীকোরোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মো. আসাদুজ্জামান এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক কাজী মিজানুর রহমান মুফতি আমির হামজাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক সেই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপরে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
এর আগে গত মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম মুফতি আমির হামজাকে পাঁচদিন রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
গত সোমবার বিকেলে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ী ইউনিয়নের ডাবিরাভিটা গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আমির হামজাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সিটিটিসি।
গত ৫ মে তলোয়ার নিয়ে সংসদ ভবনে হামলা চালানোর চেষ্টারত সাকিব নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সাকিবকে আটকের পর শেরেবাংলা নগর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় সাকিবসহ আলী হাসান উসামা ও মাওলানা মাহমুদুল হাসান গুনবীকে আসামি করা হয়।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, সাকিবের কাছ থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সাকিব মোবাইল ফোনে উগ্রবাদ বার্তা সংবলিত ভিডিও প্রচারকারী আলী হাসান উসামা, মাহমুদুল হাসান গুনবী, আমির হামজা, হারুন ইজহার প্রমুখ ব্যক্তির উগ্রবাদী জিহাদি হামলার বার্তা সংবলিত ভিডিও দেখে উগ্রবাদে আসক্ত হন।
ওই এজাহারে মুফতি আমির হামজার নাম ছিল। তার সূত্রে ধরেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মুফতি আমির হামজা কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ী ইউনিয়নের রিয়াজ সর্দারের ছেলে। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় মুফাসসির পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
কালের আলো/এসজেআরবি