করোনাভাইরাসের ঝুঁকি কমলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে : শিক্ষামন্ত্রী
প্রকাশিতঃ 9:51 pm | February 10, 2021

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
করোনাভাইরাসের ঝুঁকি কমলে তবেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পুরোপুরি অবস্থার ওপর নির্ভর করবে, আমরা কি ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি বা শেষ দিকে স্কুল খোলার একটা সুযোগ পাব, নাকি মার্চ মাসে খোলার চেষ্টা করব?
‘মোটকথা একেবারে গোড়া থেকেই যেটি কথা, স্বাস্থ্য ঝুঁকি আমরা নেব না। যেখানে স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকবে, তখন আমরা খুলব না। যখন মনে করব, ঝুঁকিটা খুবই কম এবং এখন খোলা যায় নিরাপদভাবে, আমরা তখন খুলব।’
বুধবার(১০ ফেব্রুয়ারি) স্কুল খুলে দিতে সরকারের পরিকল্পনাকে সফল করার উদ্দেশ্যে ১৫টি শীর্ষস্থানীয় জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে ‘নিরাপদে ইশকুলে ফিরি’ প্রচারাভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেছেন।
যখনই স্কুল-কলেজ খোলা হোক না কেন, তার কতদিন পরে এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষা নিলে শিক্ষাবর্ষ নষ্ট হবে না- সে বিষয়টি মাথায় রেখে সিলেবাস প্রণয়নের কথা জানান শিক্ষা মন্ত্রী।
তিনি বলনে, আমরা কতগুলো কার্যদিবস পাব, কতগুলো ক্লাস পাব- সেই হিসাব করে আমরা নতুন করে সিলেবাস প্রণয়ন করেছি এসএসসি ও এইচএসসির জন্য। এসএসসির জন্য একটি ৬০ কর্মদিবসের সিলেবাস তৈরি করেছি এবং মাথায় রেখেছি কোন কোন বিষয়গুলো তার ওই সাবজেক্টের জন্য জানা অত্যাবশ্যক।
ডা. দীপু মনি বলেন, এইচএসসির বেলায় ৮৪ কার্যদিবস আমরা ঠিক করেছি। কাজেই আমাদের খুলতে যদি দেরি হয়, পরীক্ষা একটু পরে নেব, তাতে এমন কোনো মহাভারত অশুদ্ধ হবে না এবং তারপরে তাদের পরবর্তী পর্যায়ে যাওয়াটা খুব সমস্যা হবে বলে আমরা মনে করছি না।
শিক্ষকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার পরের ধাপেই আবাসিক হলের শিক্ষার্থীর টিকা পাবে বলে জানান তিনি।
দীপু মনি বলেন, অতি সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে কথা হচ্ছিল। প্রধানমন্ত্রীও মনে করেন, আমাদের যারা আবাসিক ছাত্র, তাদের টিকা আমরা দিয়ে দিতে পারলে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে পারতাম।
‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সর্বপ্রথম সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে, সকল শিক্ষককে অগ্রাধিকারভিত্তিতে টিকা দেওয়া হবে। এটা আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বেশি সহায়তা করবে। তারপরের ধাপেই আমরা আমাদের আবাসিক ছাত্রদের টিকা দিতে পারব বলে প্রত্যাশা করছি।’
বাংলাদেশে করেনাভাইরাসে রোগী শনাক্তের পর গত ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। কওমি মাদ্রাসা বাদে অন্যসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা আছে।
অনেক উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশ অসাধারণভাবে করোনাভাইরাস মোকাবেলা করেছে বলে মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী।
কালের আলো/এনআর/এমজেএস