শিশু শেখ রাসেলের আকুতি ‘আমাকে হাসু আপার কাছে পাঠিয়ে দিন’
প্রকাশিতঃ 9:32 am | October 18, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
ঘাতকদের হামলা শুরুর পর বাবা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে কর্মচারীর কোলে প্রাণের সন্ধানে ঝাপিয়ে পড়েছিল রাসেল। ছোট্ট এ শিশুটি ঘাতকদের নির্মমতায় পালাতে চেয়েছিল।
আরও পড়ুন: মা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকেই ‘আব্বা’ বলে ডাকতো শেখ রাসেল
কিন্তু রক্তাক্ত করিডোর আর নরপশুদের থাবা তাকেও ছাড়েনি। ভীত ও কাতর কণ্ঠে শিশুটি বলেছে, ‘আমি মায়ের কাছে যাব’।
ততক্ষণে মা আর নেই! কি অসম্ভব যন্ত্রণা! মায়ের লাশ দেখে বড় বোনের কাছে যাবার মিনতি করেছিল।
মিনতি করেছিল একটু বেঁচে থাকার। মিনতি করে বলেছিল, ‘আমাকে হাসু আপার কাছে পাঠিয়ে দিন’।
আরও পড়ুন: দুর্লভ ছবিতে শেখ রাসেল
কিন্তু ঘাতকদের মন গলেনি। বিন্দুমাত্র দেরি না করে গুলিতে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলকে নির্মমভাবে হত্যা করে তারা। গুলিতে শেখ রাসেলের চোখ বেরিয়ে যায়। মাথার পেছনের অংশ থেঁতলে থাকে।
নিথর দেহটি পড়ে থাকে সুলতানা কামাল খুকুর লাশের পাশে। শেখ রাসেল ছিল ঘাতকের শেষ শিকার। তিনি শহীদ হওয়ার পর উদ্ধত কণ্ঠে ঘাতকরা তাদের কর্মকর্তাদের খবর দেয়, ‘স্যার, সব শেষ’।
কি অপরাধ ছিল এই শিশুটির? নির্মমতার চরম পর্যায়ে সেদিন খুন হতে হয়েছিল তাকেও। বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের কথাই বলছি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাতে পিতা বঙ্গবন্ধু এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে শহীদ হন রাসেল।
সে সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১০ বছর। শেখ রাসেল আজ বেঁচে থাকলে হতেন ৫৬ বছরের যুবক। শেখ রাসেলের জন্মদিনে বিনম্র শ্রদ্ধা।
কালের আলো/এসবি/এমএম