ফের মরিয়া কিলার আব্বাস, ‘ডান হাত’ সেই স্বপ্না আটক
প্রকাশিতঃ 1:20 am | May 21, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :
১৭ বছর ধরে কারাবন্দি শীর্ষ সন্ত্রাসী আব্বাস উদ্দিন ওরফে ‘কিলার আব্বাস’। কিন্তু কারান্তরীণ জীবন আর বাইরের জীবনের যেন খুব একটা পার্থক্য নেই তার।
কারাগারে বসেই চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে দখলবাজি বা ঝুট ব্যবসা-সবই চলছে সমান তালেই। রাজধানীর ভাসানটেক ও কাফরুল এলাকায় মাদক কারবারেও নিজের একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রেখেছেন।
অবশ্য এরই মধ্যে ভাসানটেক এলাকায় আব্বাসের ‘ডান হাত’ হিসেবে পরিচিত, মাদক বাণিজ্যের পুরোদস্তুর ‘গডমাদার’ স্বপ্না আক্তারকে আটক করেছে এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
দীর্ঘ দিন যাবত এই এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার আব্বাসের মাদক সাম্রাজ্য দেখভাল করে একাধিক বাড়ি ও নামে-বেনামে অঢেল বিত্ত বৈভবের মালিক বনে গেছেন এ মাদক সম্রাজ্ঞী।
কিন্তু তার বিরুদ্ধে কারও টু’শব্দ করারও সাহস নেই। পান থেকে চুন খসলেই ঘটতো মহাবিপদ!
রীতিমত রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকায় মাদক ও সন্ত্রাসের রাম রাজত্ব কায়েম করা স্বপ্না আক্তারের এবার শেষ রক্ষা হয়নি। বুধবার (২০ মে) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৯৯৫ পিস ইয়াবা, ৮৪ গ্রাম হেরোইন এবং জাল টাকাসহ মাদক ব্যবসায়ী স্বপ্না আক্তারকে আটক করে র্যাব-৪।
র্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক রাত সোয়া ১১ টার দিকে কালের আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

র্যাব জানায়, শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার আব্বাসের সঙ্গে স্বপ্না আক্তারের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। স্থানীয় এলাকায় তাকে কিলার আব্বাস গ্রুপের সক্রিয় সদস্য হিসেবেই সবাই চিনেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বপ্না র্যাবকে জানিয়েছে, আসামি বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক চক্ষুর আড়ালে মাদক দ্রব্য ও জাল টাকা সংগ্রহ করে। পরে বিশেষ কায়দায় রাজধানীর ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় নিজস্ব চক্রের মাধ্যমে পরিচালনা করে থাকে।
আসামি দীর্ঘ দিন থেকে মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজী করতে এলাকায় নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী তৈরি করেছেন। যার কারণে মানুষ ভয়ে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করে না। কেউ অভিযোগ করলেই তাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখানো হয়।
র্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক কালের আলোকে জানান, মাদক কারবার ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে একাধিক বাড়ির মালিক হয়েছেন স্বপ্না। কিলার আব্বাসের মাদক ব্যবসাও মূলত এ মাদক সম্রাজ্ঞীই নিয়ন্ত্রণ করেন।
সূত্র জানায়, দীর্ঘ দিন যাবত কারাবন্দি কিলার আব্বাস কারাগারে বসেই আবারও নিজের আধিপত্য পুরোদমে বিস্তার করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
ঢাকার মিরপুর, কাফরুল, ভাষানটেক, আগারগাঁও, শেওড়াপাড়াসহ উত্তরের বিরাট অংশ এখন নিয়ন্ত্রণ করছে। পুরো রাজধানী নিয়ন্ত্রণেরও ‘খোয়াব’ দেখতে শুরু করেছে।
কালের আলো/বিএএ