হাফেজ ইমামরা যেন সম্মানী পান, মানুষ যেন খাবার পায়

প্রকাশিতঃ 10:27 am | April 25, 2020

পীর হাবিবুর রহমান :

বিষাদগ্রস্থ করুণ বিপর্যয়ে মুসলমানদের সিয়াম সাধনার পবিত্র রমজান শুরু হয়েছে। করোনার ত্রাসে মানবজাতি ভয়ংকর ধ্বংসলীলার মুখে। আমাদের দেশেও ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সব সময় পবিত্রতার সাথে এ মাসে রোজা নামাজ সিয়াম সাধনা আল্লাহর ইবাদত বন্দেগী শেষে সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতরের ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হতেন। রমজানে রোজ রাতে তারাবির নামাজ জামাতে পড়তেন। ইফতারের সাথে ঈদের কেনাকাটা উপহার বিনিময় ও দানখয়রাতে উৎসবের আনন্দ ও ছিলো।

এবার করোনার ভয়াবহতা নিষেধাজ্ঞা নিরাপদ দূরত্ব বা সঙ্গরোধ আইসোলেশন ঘিরে আছে। স্থবির বিষাদগ্রস্থ সময় ও মনে আল্লাহর কাছে এই অভিশাপ থেকে মুক্তির মোনাজাতে থাকবে আকুতি, ঝরবে অশ্রুবিন্দু। রোজা নামাজ ঈদ সব হবে। কেবল চাকচিক্য রুপ আর অপচয় হবে না।

রমজান মাসে আমরা যেমন সিয়াম সংযমের বিধান লংঘন করে অপচয়ে শামিল হয়েছি, তেমনি একদল অসৎ ব্যবসায়ী দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে মুনাফা লুটেন। এবার আমাদের অপচয় করোনার আঘাত বন্ধ করলেও মুনাফাখোরদের লোভ কমেনি।বেড়েছে। রোজার আগেই তাই বাজার গরম।আল্লাহ তাদের হেদায়েত করুন। আমাদের মাফ করুন।

আমাদের মুসলমান যারা মসজিদে মসজিদে যে কোরআনে হাফেজের ইমামতিতে তারাবির নামাজ পড়তেন তাকে রমজানের শেষে বড় অংকের সম্মানি দিতেন। এবার মসজিদে তারাবি হবেনা।হলেও ১২জনের বেশি কেউ যাবেন না। আশা করবো ঘরে নামাজ আদায় করলেও ইমাম মোয়াজ্জিনদের সাহায্যে সকল মুসল্লি সামর্থ অনুযায়ী সম্মানি দানে অকৃতদার হবেন। তাদের জীবন অনেক সম্মানের হলেও আর্থিক টানাপোড়েনের।

আমরা ইফতারের মহা আয়োজন, বিশাল ইফতার পার্টি, কেনাকাটা উপহারের অপচয়ে এবার যাবো না। সে টাকা গরিবের হাতে তুলে দিলে তার ঘরে খাবার আসবে। আল্লাহর কাছে এটাও অনেক বড় ইবাদত। গরীব আত্নীয়স্বজন, বন্ধু,পাড়া প্রতিবেশী, স্বজন, এলাকার পরিচিত অপরিচিত যেখানে যা পারেন দিন। অনেকে মুখ খুলে চাইতেও পারে না। কঠিন সময় তার।তার পাশে দাঁড়ান। করোনায় মানুষের পাশে কেবল সরকারই নয়, মানুষও দাঁড়িয়েছে। মানুষের শক্তি অনেক বড়। আসুন সবাই মিলে বাঁচি,রোজা ও ঈদ করি। অনেক আনন্দের তৃপ্তির হবে। আল্লাহও খুশি হবেন।

লেথক: নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন