বাঁচানো গেলো না মুক্তামণিকে

প্রকাশিতঃ 10:50 am | May 23, 2018

কালের আলো রিপোর্ট:

হাজারো চেষ্টা করে সাতক্ষীরার বিরল রোগে আক্রান্ত শিশু মুক্তামণিকে (১২) বাঁচানো গেল না। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার নিজ গ্রাম দক্ষিণ কামারবায়সায় মুক্তামণির মৃত্যু হয় (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

২০১৭ সালের জুলাইয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে মুক্তামণির বিরল রোগের খবর প্রকাশের পর টনক নড়ে স্বাস্থ্য বিভাগের। প্রথমে স্বাস্থ্যসচিব তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিকিৎসার দায়ভার গ্রহণ করেন।

ওই বছরের ১১ জুলাই ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয় মুক্তামণিকে। সেখানে তার চিকিৎসায় গঠন হয় মেডিক্যাল বোর্ড। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ধরা পড়ে মুক্তামণির হাত রক্তনালীর টিউমারে আক্রান্ত। কয়েক দফা অস্ত্রোপচার করে অপসারণ করা হয় তার হাতের অতিরিক্ত মাংসপিণ্ড।

এদিকে ঢাকায় টানা ছয় মাস চিকিৎসা শেষে এক মাসের ছুটিতে মুক্তামণি ২০১৭ এর ২২ ডিসেম্বর বাড়ি ফিরে যায়। এর পর থেকে ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী বাড়িতে রেখে তার চিকিৎসা চলতে থাকে। এরই মধ্যে তার অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে।

মুক্তামনির বাবা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামের মুদি দোকানি ইব্রাহিম হোসেন জানান, জন্মের দেড় বছর পর (বর্তমানে ১৩ বছর) মুক্তামণির দেহে একটি ছোট মার্বেলের মতো গোটা দেখা দেয়। এরপর থেকে সেটি বাড়তে থাকে। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়েও তার কোনো চিকিৎসা হয়নি।

তার আক্রান্ত হাতটি গাছের গুড়ির আকার ধারণ করে প্রচণ্ড ভারি হয়ে ওঠে। এতে পচন ধরে। পোকাও জন্মায়। দিন রাত চুলকানি ও যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে থাকতো মুক্তামণি। বিকট দুর্গন্ধের কারণে তার বাড়িতে আত্মীয় স্বজন ও পড়শীদের যাতায়াতও এক রকম বন্ধ হয়ে যায়।