‘আইডিয়াল’ ক্লাস রুম: আরামদায়কভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে পারবে মমেক’র শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিতঃ 12:15 pm | April 24, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

পরিবর্তনের ধারা সূচিত হতে চলেছে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে (মমেক)। ‘আইডিয়াল’ ক্লাস রুম সুবিধার আওতায় আসছেন এ কলেজটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উভয়ে যাতে আরামদায়কভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে পারে এ লক্ষেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন তথ্য জানিয়েছেন কলেজটির প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডা: মো: আনোয়ার হোসেন। কলেজটির ৯ টি বিভাগেই আগামী এক মাসের মধ্যে এমন ক্লাসরুম চালু করার জোর প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। জানা যায়, আধুনিক এ সময়টিতেও এ কলেজটির শিক্ষার্থীরা পুরনো বেঞ্চে বসে ক্লাস করেন। লেকচারের জন্য শিক্ষকদের এখনো ভরসা ব্ল্যাকবোর্ডই। এমন ঘটনা যুগের সঙ্গে একেবারেই যেন বেমানান। বিষয়টি হয়তো উপলব্ধি করেছেন কলেজ প্রিন্সিপাল ডা: মো: আনোয়ার হোসেনও।

আর এ কারণেই তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন ‘আইডিয়াল’ ক্লাস রুম চালু করার। এর ফলে আধুনিক লেখার চেয়ারে বসে লিখতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকরা ব্ল্যাকবোর্ডের বদলে স্ক্রিনসহ মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরে ক্লাস নেবেন। প্রতিটি কক্ষ হবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে আন্ডার ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন মিলিয়ে ১ হাজার ৬৫৭ জন শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছেন। কিন্তু এখানকার শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমগুলো এখনো আধুনিকতার ছোঁয়া পায়নি। এ অবস্থায় কলেজটির প্রিন্সিপাল ডা: মো: আনোয়ার হোসেন ‘শিখন’ ও ‘শিক্ষণ’ পদ্ধতির আরো মনোন্নয়নের লক্ষে ‘আইডিয়াল’ ক্লাসরুম চালুর উদ্যোগ নেন।

কলেজের এনাটমী, ফিজিওলজী, বায়োকেমেস্ট্রি, প্যাথলজিসহ ৯ টি বিভাগের প্রতিটিতে একটি করে আইডিয়াল ক্লাসরুম করা হবে। পর্যায়ক্রমে সব ক’টি ক্লাসরুমই আইডিয়াল ক্লাসরুমে উন্নীত হবে। কলেজ প্রিন্সিপাল জানান, আইডিয়াল ক্লাসরুম উপযোগী সব সরঞ্জামাদি ইতোমধ্যে কেনা হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিপূর্ণ একটি ক্লাসরুম উপহার পাবেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

তিনি জানান, কলেজের টিউটোরিয়াল ক্লাসরুমসহ প্রতিটি ক্লাসের দরজা-জানালাও আইডিয়াল ক্লাস রুম উপযোগী করে লাগানো হবে।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল জানান, কলেজটির শিক্ষার্থীদের জন্য তিনটি লাইব্রেরি রয়েছে। এসব লাইব্রেরিগুলো ছিল মান্ধাতা ধাঁচের। এগুলো ইতোমধ্যেই আধুনিকায়ন করা হয়েছে। কলেজের ল্যাবরেটরীগুলোতে ছিল পুরাতন সব যন্ত্রপাতি। এখন সেখানে আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে কাজ করছে শিক্ষার্থীরা।

কলেজ প্রিন্সিপাল জানান, একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা পরীক্ষা হল করারও কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আলাদা এ পরীক্ষা হল হয়ে গেলে শিক্ষার্থীদের আর কলেজ গ্যালারি কিংবা টিউটোরিয়াল ক্লাসে পরীক্ষা দিতে হবে না।

 

কালের আলো/এমকে/ওএইচ