বঙ্গোপসাগরে ১২২ রোহিঙ্গা নিয়ে ৩ দিন ধরে ভাসছিল ট্রলারটি
প্রকাশিতঃ 11:07 am | November 15, 2019

কালের আলো ডেস্ক:
অবৈধ উপায়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর থেকে ১২২ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তিন দিন ধরে সাগরে ভাসছিল ট্রলারটি।
উদ্ধারকৃতদের বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাত ৭টার দিকে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ট্রলারটিতে গাদাগাদি করে বসানো হয়েছিল ১১৯ যাত্রীকে। যেখানে রয়েছে তিন বছরের শিশু থেকে ৬০ বছরের বৃদ্ধ।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে কোস্টগার্ড সেন্টমার্টিন স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জোসেল রানা সংবাদকর্মীদের বলেন, সাগরে মালয়েশিয়াগামী যাত্রীবাহি একটি ট্রলার সেন্টমার্টিনের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে ভাসমান অবস্থান রয়েছে, এমন খবর পেয়ে তিনিসহ কোস্টগার্ডের একটি দল সেখানে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে। ট্রলারে চার মাঝিমাল্লাহ ১২২ জন যাত্রী ছিল। তারা সবাই রোহিঙ্গা।
উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা জানায়, ইঞ্জিন বিকল হয়ে তিন দিন ধরে তারা সাগরে ভাসছিল। এর আগে টেকনাফের রাজারছড়া উপকূল দিয়ে উন্নত জীবনের আশায় সাগরপথে মালয়েশিয়া পাড়ি দিচ্ছিল বলে স্বীকার করেন উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা।
তাঁরা আরও জানায়, গত ১১ নভেম্বর গভীর রাতে টেকনাফের রাজাছড়া উপকূল দিয়ে সাগরে নোঙ্গর করে থাকা ট্রলারে পৌঁছায় তাঁরা। সেই ট্র্রলারে তার মতো আরো অনেকে রয়েছেন। সব মিলিয়ে সাগর পথে মালয়েশিয়াগামী ১১৯ জন যাত্রী ছিল। সেই দিন রওনা দেওয়ার একদিন পর হঠাৎ করে ট্রলারের নিচের তক্তা ভেঙে পানি ঢুকতে শুরু করে। এতে সবাই কান্নায় ভেঙে পড়েন। সেই দিন রাতে পানি ঢুকে ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। তখন থেকেই ট্রলারটি ভাসমান ছিল। এভাবে তিন দিন সাগরে ভাসমান থাকার পরে তাদের উদ্ধার করে কোস্টগার্ড।
র্যাব-১৫ এর টেকনাফ ক্যাম্পের ইনচার্জ লে. মির্জা শাহেদ মাহতাব বলেন, রোহিঙ্গা মানব পাচারকারীরা টাকায় আশায় সাগরে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে মানুষদের। তাছাড়া সচেতনতার অভাবে রোহিঙ্গারা সাগর পাড়ি দিচ্ছে। এই সময় পাচারকারীরা সক্রিয় হওয়া চেষ্টা করে। ফলে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। আর যেসব পাচারকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে, তাদের ধরতে র্যাবের একটি বিশেষ টিম কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস বলেন, চার মাঝিমাল্লাসহ আটক ১২২জন রোহিঙ্গাকে যাচাই-বাচাই শেষে নিজ নিজ ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হবে।
কালের আলো/এডিবি