হাতে হাত রেখেছেন এরশাদ-রওশন
প্রকাশিতঃ 7:16 pm | July 01, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
স্বামী সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শয্যাপাশে দাঁড়িয়ে স্ত্রী রওশন এরশাদ। রওশন হাত বাড়িয়েছেন। শয্যাশায়ী এরশাদ হাত ধরেছেন। এ যেন আবেগঘন এক দৃশ্য। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) এমনই এক দৃশ্যের অবতারণা হলো সোমবার (০১ জুলাই)।
মনিটরে বাইরে থেকে এ দৃশ্য দেখে উৎফুল্ল হয়ে উঠলেন জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা। তাঁরা সেই মনিটরেই দেখলেন প্রায় আধা ঘন্টা জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা স্বামীর পাশে দাঁড়িয়ে কোরআন তিলাওয়াত করেছেন রওশন এরশাদ।
এরশাদের শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলেও তিনি জীবিত আছেন এখনো কালের আলো’কে এদিন বিকেলে এমন তথ্যই দিলেন স্ত্রী রওশন এরশাদ। তিনি ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা।
রওশন এরশাদ জানান, তিনি এরশাদের দিকে হাত বাড়াতেই এরশাদ হাত ধরেছেন। পা নাড়িয়েছেন। চিকিৎসাধীন এরশাদের পাশে প্রায় আধা ঘন্টা কোরআন তিলাওয়াত করেছেন। তিনি এরশাদের সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চান।
স্বামী এরশাদকে দেখতে সোমবার (০১ জুলাই) দুপুর ১২ টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) যান স্ত্রী বেগম রওশন এরশাদ এমপি। এ সময় এরশাদ-রওশন দম্পত্তির সন্তান রাহগীর আল মাহে এরশাদ উপস্থিত ছিলেন।
রওশন এরশাদের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, সিএমএইচকে ঘিরে দলীয় নেতা-কর্মীদের ভিড়ের কারণে এরশাদের বেডে থাকা ক্যামেরাটি রোববার (৩০ জুন) রাতে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে বাইরে থেকে টিভি মনিটর বন্ধ থাকায় দলটির নেতা-কর্মীদের মাঝে গুজব ছড়িয়ে পড়ে এরশাদ বেঁচে নেই।
কিন্তু এদিন দুপুরে রওশন এরশাদ সেখানে যাওয়ার পর পুনরায় ক্যামেরা ‘অন’ করা হয় এবং বাইরে থেকে দলটির নেতা-কর্মীরা স্বামী-স্ত্রীর আবেগঘন এমন দৃশ্য নিজেদের চোখেই প্রত্যক্ষ করেন। এবং তাঁরা নিশ্চিত হন বিরোধী দলীয় নেতা এখনো জীবিত রয়েছেন।
বিরোধী দলীয় উপনেতার সহকারী একান্ত সচিব মামুন হাসান জানান, স্বামী-স্ত্রীর আবেগঘন এ দৃশ্য সবাইকে আপ্লুত করেছে।
এর আগে গত শনিবার (২৯ জুন) সকালে ও বিকেলে ও রোববার (৩০ জুন) দুপুরে দুই দফা স্বামী এরশাদকে দেখে আসেন স্ত্রী রওশন এরশাদ। পরে রোববার (৩০ জুন) দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে এরশাদের শারীরিক অবস্থার বিষয়টি তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানান।
বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীকে সাবেক রাষ্ট্রপতির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে সেটা বলেছি। তিনি আমাদের বলেছেন, আমি সিএমএইচ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। সরকার তাঁর চিকিৎসার ব্যাপারে সব সময় আন্তরিক ছিলো। আগেও ব্যবস্থা করেছে। এবারও প্রয়োজন হলে দেশের বাইরে নিয়ে চিকিৎসার সব ব্যবস্থা করবে।
কালের আলো/এআর/এমএম