বৃষ্টিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত

প্রকাশিতঃ 2:47 pm | June 03, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

বৃষ্টিতে পানি জমে যাওয়ায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত পানি জমে যায়।

যার কারণে সোমবার(৩ জুন) ভোর থেকে ১২ কিলোমিটার ওই সড়কে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, ১২ কিলোমিটার সড়কের বোর্ডবাজার ও সাইনবোর্ড অংশে চার কিলোমিটার সড়কের পাশে কোনও ড্রেন নেই। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে সেখানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে সোমবার ভোর থেকেই গাজীপুর মহানগরের টঙ্গীর কুনিয়া, সাইনবোর্ড, বড়বাড়ি, বোর্ডবাজার, ভোগড়া বাইপাস, চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত যানজট সৃষ্টির কারণে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক সাউথ) থোয়াই অংপ্রু মারমা বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে সকালে বোর্ডবাজারের সাইনবোর্ড এলাকায় মহাসড়কে পানি জমে থাকার কারণে যানবাহন ধীরগতিতে চলাচল করছে।

ধারণা করা হচ্ছে, সড়ক থেকে পানি সরে গেলে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে। এ সড়ক যানজটমুক্ত রাখতে সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, ঘরমুখো মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারবে।’

বিআরটি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সানাউল হক জানান, এক বছরে বিআরটি’র কাজ ২০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। এ প্রকল্পের দুটি প্যাকেজের কাজ বিদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান করছে। তারা এ দেশের আবহাওয়া ও পরিবেশের সঙ্গে কাজ করে অভ্যস্ত নয়।

রাস্তার পাশে ড্রেন নির্মাণ করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, আবাসিক বাসাবাড়ি ও কলকারখানার পানি সড়ক দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে। আর পানির কারণে রাস্তাও নষ্ট হচ্ছে। তবে রাস্তা সচল রাখতে আমাদের লোক কাজ করছে।’

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার ট্রাফিক (নর্থ) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত গাজীপুরের মহাসড়কের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কোনও রিকশা, ভ্যান মহাসড়কে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। রাস্তার পাশে হকার ও অবৈধ দোকানপাট নেই। মহাসড়কের পাশে কোনও যানবাহন থেকে মালামাল লোড-আনলোড করতে পারবে না।

আশা করছি সড়কের পানি সরে গেলে এবং যানবাহন বিকল না হলে ১২ কিলোমিটারের এ সড়ক দিয়ে যানবাহন স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাইরে থেকে ২শ’ এপিবিএন সদস্য আনা হয়েছে। তারা সড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।’

জানা গেছে, ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চলের দিকে ২৭টি রোডের যানবাহন গাজীপুর চৌরাস্তার ওপর দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। কোনাবাড়ি-চন্দ্রা এলাকায় এবারের ঈদে কোনও যানজট থাকছে না। এ দুটি স্থানে দুটি ফ্লাইওভার এবং দুটি ব্রিজ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।

কালের আলো/পিআর/এমএম