পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে ব্রিটিশ আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে: ড. ইউনূস
প্রকাশিতঃ 11:15 pm | June 14, 2025

কালের আলো ডেস্ক:
গত দেড় দশকে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে ব্রিটিশ আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাজ্য সফরকারে দেশটির গণমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
নোবেল জয়ী এই অধ্যাপক জানিয়েছেন, ‘ব্রিটিশ সরকার এ প্রয়াসে (পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে) ‘অত্যন্ত সহায়ক’ ভূমিকা পালন করছে। এ বিষয়ে তারা যে দ্রুততা দেখিয়েছেন, আমি তার জন্য অনেক প্রশংসা করি।’
বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, আন্তর্জাতিক দুর্নীতি প্রতিরোধ সমন্বয় কেন্দ্র (আইএসিসিসি) বাংলাদেশের অন্তর্র্বতী সরকার ও যুক্তরাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজে সহায়তার সুযোগ খুঁজছে। বিশেষ করে হাসিনা সরকারের আমলের দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করতে।
বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের ধারণা, হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন ডলার (১৭৪ বিলিয়ন পাউন্ড) দুর্নীতির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছে। অভিযোগ করা হয়েছে, এসব অর্থের বেশিরভাগই যুক্তরাজ্যে লুকিয়ে রাখা হয়েছে অথবা খরচ করা হয়েছে।
লন্ডনে আইএসিসিসিকে জাতীয় অপরাধ সংস্থা (এনসিএ) আমন্ত্রণ জানায়। এনসিএর এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক সহায়তার প্রকৃতি সম্পর্কে নিয়মিত মন্তব্য করি না। যদি কোনো তদন্ত শুরু হয়ে থাকে বা কোনো অংশীদারের তদন্তে সহায়তা দেওয়া হয়— তা নিশ্চিত করি না।’
যুক্তরাজ্য সফরকালে ড. ইউনূস সম্প্রতি বাকিংহাম প্যালেসে কিং চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দেশটির পার্লামেন্টে বাণিজ্য সচিব জনাথন রেনল্ডসের সঙ্গেও বৈঠক করেন। রেনল্ডস এক টুইট বার্তায় জানান, তারা ‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টির ও সমৃদ্ধির জন্য তাদের পারস্পরিক যৌথ আকাঙ্ক্ষা’ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
ড. ইউনূস বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠক করার ব্যবস্থা করতে পারেননি। টিউলিপ সিদ্দিকের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং একই নির্বাচনি এলাকার প্রতিবেশী প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।
তিনি বলেন, ‘আমি জানি না আমার হতাশ হওয়া উচিত, নাকি দুঃখিত হওয়া উচিত। এটি একটি হারানো সুযোগ।’
স্টারমারের সঙ্গে বৈঠক না হওয়ার কারণ প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা এখনো কোনো ব্যাখ্যা পাইনি। সম্ভবত তিনি অন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত ছিলেন।’
চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গত মঙ্গলবার (১০ জুন) লন্ডনে যান প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে তিনি একাধিক বৈঠক করেন এবং ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করেন। সফর শেষে শনিবার সকালে প্রধান উপদেষ্টা এবং তার সফরসঙ্গীরা ঢাকায় ফিরেছেন।
কালের আলো/এমডিএইচ