গ্যাস সংকটে গৃহিণীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষা
প্রকাশিতঃ 11:53 am | March 05, 2025

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:
হুট করে গ্যাসের চাপ কমে যাচ্ছে। সকালে কিছুটা ঠিক থাকলেও বিকেলে প্রকট হচ্ছে এই সমস্যা। মার্চের শুরুতে গৃহস্থালির গ্যাস সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্রে। আর এতেই মূলত ঘটেছে বিপত্তি। রান্নাঘরে গৃহিণীদের প্রতীক্ষা দীর্ঘ হচ্ছে। কিন্তু রান্না হচ্ছে না। এসব কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বাসাবাড়িতে গ্যাস ব্যবহারকারী সাধারণ মানুষ।
রাজধানীর বাসিন্দাদের অভিযোগ, অনেক এলাকায় দুপুর গড়ানোর আগেই গ্যাস কমে, বিকাল নাগাদ গ্যাস থাকেই না। এর মধ্যে রয়েছে পুরান ঢাকায় অনেক এলাকা, রামপুরা, উলন, হাজারীবাগ, খিলগাঁওয়ের কিছু অংশ, মিরপুর ও উত্তরার কিছু অংশ, মোহাম্মদপুর, মানিকনগর, বাসাবোসহ আশপাশের বেশিরভাগ এলাকা।
জানা যায়, প্রথম রমজানে সারা দেশে ২ হাজার ৮৫৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়। কিন্তু চাহিদা ৪ হাজার মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি। সংকটের মধ্যে তাপমাত্রা বাড়ার কারণে গতকাল গ্রিডের বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৯১৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে। তাপমাত্রা কম থাকায় গত মাসের শেষের দিকে গ্রিডের বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৮৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হতো। ২৫ ফেব্রুয়ারির গ্যাস সরবরাহের চিত্রে দেখা গেছে, ওই দিন বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৮৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে। তাপমাত্রা বাড়ার কারণে বর্তমানে বিদ্যুৎকেন্দ্রে দৈনিক ৮৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস বেশি সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে সংকটে পড়েছে আবাসিকসহ অন্যান্য খাত।
রাজধানীর মিরপুর পল্লবী এলাকার আয়েশা আক্তার জানান, সারা বছর গ্যাসের কষ্ট করতে হয়। এই রমজানেও অবস্থার উন্নতি নেই। সন্ধ্যা ৬টায় গ্যাস এলে মানুষ ইফতারের আয়োজন কখন করবে? এদিকে কর্তৃপক্ষের নজর নেই।’
ভোগান্তির কথা স্বীকার করে তিতাসের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) প্রকৌশলী কাজী মোহাম্মদ সাইদুল হাসান বলেন, ‘আমাদের যে চাহিদা সে অনুযায়ী গ্যাস পাচ্ছি না। এ মাসের জন্য গড়ে আমরা ১ হাজার ৯৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা দিয়েছিলাম। এর মধ্যে গতকাল পেয়েছি ১ হাজার ৫৫৯ মিলিয়নের মতো। আজ দুপুর নাগাদ কিছুটা বেড়ে ১ হাজার ৫৭০ মিলিয়নের মতো হয়েছে। ঘাটতি থেকে যাচ্ছে ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো।’
কালের আলো/এমএএইচএন