গাজায় অনিশ্চয়তা, ফের যুদ্ধ শুরু করতে পারবে ইসরায়েল?
প্রকাশিতঃ 12:46 am | March 03, 2025

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কালের আলো:
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে দখলদার ইসরায়েলর যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরটি শুরু হওয়ার ১৬তম দিনে দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা শুরুর কথা ছিল। কিন্তু ইসরায়েল তা করেনি। ফলে এ মুহূর্তে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে কোনো যুদ্ধ বিরতি নেই।
যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের মেয়াদ ছিল ৪২ দিন। এটি শেষ হওয়ার পরই আজ রোববার (২ মার্চ) গাজায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দখলদাররা গাজায় সব ধরনের পণ্য প্রবেশও বন্ধ করে দিয়েছে।
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হুমকি দিয়েছেন, হামাস যদি যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে রাজি না হয় তাহলে গাজায় ফের বর্বর হামলা শুরু করবেন তিনি। যদিও হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যে যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি হয়েছিল, সেটির মাধ্যমে গাজায় সব ধরনের লড়াই বন্ধ এবং সব জিম্মির মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইসরায়েলই এটি আটকে রেখেছে।
গাজায় ইসরায়েল আবারও যুদ্ধ শুরু করতে পারবে কি না এমন প্রশ্নে ইসরায়েলি রাজনৈতিক বিশ্লেষক ওরি গোল্ডবার্গ বলেছেন, ইসরায়েল গাজায় পণ্য প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মূলত মরিয়া ও বেপরোয়া ভাব থেকে। তাদের এ মুহূর্তে পূর্ণ সামরিক হামলা চালানোর সক্ষমতা নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি। এছাড়া নেতানিয়াহু যুদ্ধ শুরু করার ‘ফাঁকা বুলি’ ছাড়ছেন বলেও মন্তব্য করেছেন ওরি গোল্ডবার্গ।
তিনি সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে বলেন, “এটি নেতানিয়াহুর সীমাবদ্ধতাকে প্রদর্শন করছে। সঙ্গে হামাসের সীমাবদ্ধতাকেও দেখাচ্ছে। ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ করা, নেতানিয়াহুর এখন একমাত্র এটিই করার আছে। পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে ফিরে যাওয়ার হুমকি, বা সম্পূর্ণভাবে (হামাসকে) ধ্বংস করা, মনে হচ্ছে এগুলো ফাঁকা বুলি।”
তিনি আরও বলেন, “নেতানিয়াহু এতটাই কঠোর হতে পারবে। এটি পরিষ্কার গাজায় ইসরায়েলের আর করার কিছু নেই। এছাড়া গাজায় যে দীর্ঘদিন সৈন্য রাখবে সে সক্ষমতাও তাদের নেই। বেশিরভাগ ইসরায়েলিই গাজা দখল চান না।”
সূত্র: আলজাজিরা
কালের আলো/এসএকে