বিমান ছিনতাইকারী কমান্ডো অভিযানে নিহত

প্রকাশিতঃ 8:57 pm | February 24, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সন্দেহভাজন বিমান ছিনতাইকারী কমান্ডো অভিযানে নিহত হয়েছে।

সেনাবাহিনীর বিশেষ কমান্ডো টিমের সঙ্গে র‌্যাব, পুলিশের সম্মিলিত অভিযানে ওই অস্ত্রধারীর মৃত্যু হয়।

এক ব্রিফিংয়ে মেজর জেনারেল মতিউর রহমান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, কমান্ডো অভিযান চালিয়েছেন হলি আর্টিজান রেস্তোঁরায় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানের নেতৃত্বে থাকা লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইমরুল।

তিনি আরও জানান, ওই উড়োজাহাজে ১৩৪ জন যাত্রী ও ১৪ জন ক্রু ছিলেন। তাদের সবাই অক্ষত অবস্থায় নেমে এসেছেন। কেবিন ক্রুদের জিম্মি করা হয়েছিল। তবে ছিনতাইকারী কোনো যাত্রীর কোনো ক্ষতি করেনি।

অস্ত্রধারী সম্পর্কে মেজর জেনারেল মতিউর রহমান বলেন, প্রথমে ধারণা করা হচ্ছি সে বিদেশি। কিন্তু পরে দেখা গেলে, সে বাংলাদেশি। তার হাতে একটি অস্ত্র ছিল— পিস্তল। তার বয়স ২৫ থেকে ২৬ বছর।

তিনি বলেন, ছিনতাইকারীকে নিবৃত্ত করার জন্য কমান্ডো বাহিনী প্রথমে তাকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু সে আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে আক্রমণাত্মক হওয়ার চেষ্টা করে। এসময় স্বাভাবিকভাবে যা হওয়ার কথা, তাই হয়েছে। গোলাগুলিতে প্রথমে সে আহত হয়। পরে সে মারা যায়।

কেন এই ছিনতাই চেষ্টা— জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমে সে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিল। তারপর তাকে আমরা কথোপকথনে ব্যস্ত রেখেছিলাম।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, উড়োজাহাজটি বিকেল ৫টা ৪১ মিনিটে শাহ আমানত বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেটাকে ঘিরে ফেলে। পরে ৬টার দিকে সেনাবাহিনীর বিশেষ কমান্ডো টিমকে জানানো হয়। তারা দ্রুততম সময়ে উপস্থিত হন। পরে সবার সমন্বয়ে অভিযান চালানো হয়।

এর আগে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের কমিশনার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ সংকটের সমাধান হয়ে গেছে। গুলিবিদ্ধ একজনকে আটক করা হয়েছে। তার নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।’

বিমানবন্দরের এডিসি আরিফিন জুয়েল জানিয়েছিলেন, সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে। বিমানের সব যাত্রীদের নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।

কালের আলো/এমএইচএ