সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করার ‘পক্ষপাতী’ নন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী 

প্রকাশিতঃ 5:40 pm | May 23, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

সত্য তথ্যকে বিকৃত করে উপস্থাপনের বিষয়কে নিরুৎসাহিত করলেও সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করার ‘পক্ষপাতী’ নন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি। তিনি সাংবাদিকতার উন্মুক্ত ব্যবহারকে স্বাগত জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার  (২৩ মে) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোটার্স’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনার প্রশ্নোত্তর পর্বে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে নিজের এমন মতামত তুলে ধরেন সরকারের অভিজ্ঞ এ মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুকর আলী শুভ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন৷

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি বলেন, সাংবাদিকেরা বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে বিভিন্ন মাধ্যমে সেটা বিতরণ করেন৷ তাতে করে আমরা যারা দায়িত্বে আছি, তারা সতর্ক হওয়ার একটা সুযোগ পাই। ভুল ত্রুটি নিরূপণ করার একটা সুযোগ পাই। কখনো কখনো হয়তো বিভিন্ন খবরাখবর এমনভাবে উপস্থাপন হয়, যা অতিরঞ্জিত। যেখানে হয়তো সত্য তথ্যকে বিকৃত করে উপস্থাপন করে৷ এরকম বিষয়কে আমরা নিরুৎসাহিত করি। আমি মনে করি, সাংবাদিকদের পক্ষ থেকেও এরকম বিষয়গুলোতে একটা ব্যবস্থাপনা থাকা উচিত৷ কিন্তু সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করার আমি পক্ষপাতী নই।

রাষ্ট্র পরিচালনায় সাংবাদিকদের অপরিহার্যতা সম্পর্কে উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় যেমন রাজনীতিবিদদের প্রয়োজন আছে, ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার, আমলার প্রয়োজন আছে, ঠিক তেমনি সাংবাদিকদেরও প্রয়োজন আছে৷ ভুল,ত্রুটি এবং বিচ্যুতি পরিহার করে, আমি সাংবাদিকতার উন্মুক্ত ব্যবহারকে স্বাগত জানাই৷

দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি বিষয়ক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ২০১৯ সাল থেকে মূলত ডেঙ্গুর তীব্রতা এবং এর প্রভাব প্রত্যক্ষ করছি৷ শুধু আমরা নই, সিঙ্গাপুর, মালেশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা এবং ভারতও অনেক আগে থেকে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে৷ আমরা যেহেতু পরে আক্রান্ত হয়েছি, কাজেই আমাদের সুযোগ ছিল এসব দেশের কাছ থেকে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করার। আমরা সেটা করেছি। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে তারা যা করেছে সব পদ্ধতি আমলে নিয়ে আমরা কর্মপরিকল্পনা সাজিয়েছি৷ এছাড়াও, ইতোমধ্যে আমি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো থেকেও তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছি। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় যেমন সিংগাপুর ইউনিভার্সিটি, মিয়ামি ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়ার মোনাস ইউনিভার্সিটির সাথে ভার্চুয়ালি সভাও করেছি। মোটকথা, ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে একটি বিস্তৃত প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’

কালের আলো/এমএইচইউআর