তারেককে দেশে এনে শাস্তির দাবি সংসদে

প্রকাশিতঃ 11:16 pm | February 05, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে দেশে এনে শাস্তি ভোগ করানোর দাবি জানানো হয়েছে সংসদে।

মঙ্গলবার বিকেলে অধিবেশন শুরুর পর রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর দেয়া বক্তব্যে এ দাবি জানান চাঁদপুর-৪ আসনের এমপি ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. শফিকুর রহমান। এ সময় ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া অধিবেশনের সভাপতিত্ব করছিলেন।

শফিকুর রহমান বলেন, ‘তারেক রহমান দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করে তাকে বিএনপি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন করেছে, যা নিয়মবহির্ভূত। বিদেশে তারেক রহমান জামাতের অর্থায়নে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ করে এদেশে অরাজকতার নির্দেশ দিচ্ছেন।’

এরপরই তিনি যে কোনো মূল্যে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে তার দণ্ড ভোগ করানোর ব্যবস্থার জন্য সরকার ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।

শফিকুর রহমান বলেন, ‘তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনুন, তার বেয়াদবি আর সহ্য করা যাচ্ছে না। এই ব্যক্তিই ৩০ ডিসেম্বর দেশে অরাজকতার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু, একটি অবাধ, সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচনের মাধ্যমে তার সেই ষড়যন্ত্র বানচাল হয়ে গেছে। এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।’

চাঁদপুর-৪ আসনের এমপি ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. শফিকুর রহমান
চাঁদপুর-৪ আসনের এমপি ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. শফিকুর রহমান

এই সাংবাদিক নেতা বলেন, ‘আমাদের কিছু বুদ্ধিজীবী আছেন, যারা টকশোতে উন্নয়নের বিপরীতে কথা বলেন ও লিখেন। তারা বলেছিলেন, গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন হবে না। অথচ টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী সরকার গঠনের পর তারা চুপসে গেছেন, এখন আর কোথাও তাদের দেখা যাচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান যে বিষবৃক্ষ রোপন করেছিলেন, তা এক সময় বড় আকার ধারণ করে, দেশ পিছিয়ে যায়। জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি বৃদ্ধি পায়। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই বিষবৃক্ষ আজ শেষ হতে চলেছে। বিএনপি বলে, জিয়াউর রহমান নাকি স্বাধীনতার ঘোষক, এটা একেবারেই মিথ্যে কথা। কোনো প্রমাণেই পাওয়া যাবে না তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।’

শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ এখন অনেক শান্তিতে বসবাস করছেন। জামা-জুতো পরে সবাই ভাল খাবার খাচ্ছেন। এখন কার বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই, তা খুঁজে বেড়াতে হয়। এখন কৃষক আর গুলি খেয়ে মরে না। সারের ডিলার আজ কৃষকের পেছনে ছোটেন।’

এদিন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ভাষণের উপর আরও বক্তব্য রাখেন, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জোনায়েদ আহমেদ পলক, আনোয়ারুল আজিম আনার, এনামুল হক, হাছান ইমাম খান, জাফর আলম, আক্তারুজ্জামান, মো শাহনেওয়াজ প্রমুখ।

কালের আলো/এএ/এমএইচএ