সোমবার থেকে পুলিশ সপ্তাহ শুরু
প্রকাশিতঃ 5:06 pm | February 03, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
‘পুলিশ জনতা ঐক্য গড়ি, মাদক–জঙ্গি নির্মূল করি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পুলিশ সপ্তাহ শুরু হচ্ছে সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি)। ৫ দিনব্যাপী এ কর্মসূচি চলবে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
সোমবার পুলিশ সপ্তাহের প্রথম দিনের সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে পুলিশের প্যারেডের মধ্যদিয়ে পুলিশ সপ্তাহ শুরু হবে। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সারাদেশের বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটের সহস্রাধিক সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত ১০টি কন্টিনজেন্ট এবং পতাকাবাহীদলের নয়নাভিরাম কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী। প্যারেডের অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দিবেন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি আবিদা সুলতানা।
প্যারেড শেষে ২০১৮ সালে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি বিপিএম-পিপিএম প্রদান করবেন প্রধানমন্ত্রী।
স্বীকৃতিপ্রাপ্তদের মধ্যে ৪০ জন বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম), ৬২ জন রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম), ১০৪ জন বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা এবং ১৪৩ জন রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা পাবেন।
জঙ্গি ও সন্ত্রাস মোকাবেলায় ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের নিহত ইন্সপেক্টর মো. জালাল উদ্দিনকে পিপিএম ও ডিএমপির কনস্টেবল মরহুম মো. শামীম মিয়াকে বিপিএম দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে মরণোত্তর পদক তুলে দেবেন।
প্যারেড শেষে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে স্থাপিত পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) এর স্টল পরিদর্শন এবং পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কল্যাণ সভায় অংশগ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী।
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে ইতিমধ্যে বানী দিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। বাণীতে তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশ পুলিশ দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং জননিরাপত্তা বিধানে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। ‘শৃঙ্খলা নিরাপত্তা প্রগতি’ মন্ত্রে দীক্ষিত বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা দেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছে। জঙ্গিবাদ দমন ও মাদক নির্মূলে বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকা দেশ বিদেশে প্রশংসিত হচ্ছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন, যা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে উল্লেখ করেছেন, “জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও স্থানীয় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশের দক্ষতা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ বিশ্বে ‘রোল মডেল’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। দেশের সকল প্রয়োজন ও সঙ্কটকালে বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধানে নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের পুলিশ বাহিনীর সাফল্য ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা বাংলাদেশকে বিশ্ব পরিম-লে অনন্য মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে।”
পুলিশ সপ্তাহের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সম্মেলন, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মেলন, ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারগণের সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীদের সম্মেলন, ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতির ভাষণ, পুরস্কার বিতরণ (আইজি’জ ব্যাজ, শিল্ড প্যারেড, অস্ত্র/মাদক উদ্ধার প্রভৃতি), অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে কর্মরত পুলিশ অফিসারদের পুনর্মিলনী, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণের সঙ্গে আইজিপির সম্মেলন এবং বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা ইত্যাদি।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ-সংক্রান্ত মতবিনিময় সভার মধ্যদিয়ে শেষ হবে পুলিশ সপ্তাহ।
কালের আলো/এএ/এমএইচএ