‘সিকিউরিটি সংশ্লিষ্টরা এগিয়ে এলে স্মার্ট পুলিশিং সেবা জনগণের দৌরগড়ায় পৌঁছে দেওয়া যাবে’
প্রকাশিতঃ 6:45 pm | February 14, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর ড. মল্লিক ফখরুল ইসলাম বলেছেন, সরকারের রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সিকিউরিটি সংশ্লিষ্ট সংস্থার সদস্যগণ এগিয়ে এলে কাঙ্খিত স্মার্ট সোসাইটির আলোকে স্মার্ট পুলিশ গঠন করা সম্ভব এবং স্মার্ট পুলিশিং সেবা জনগণের দৌরগড়ায় পৌঁছে দেওয়া যাবে। এক্ষেত্রে পেশাদার নিরাপত্তা সংস্থাসমূহ ও সিভিল সোসাইটির অংশগ্রহণ অপরিহার্য।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) কলেজের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দিনব্যাপী রিলেশনশিপ বিটুয়িন ইন্ডাস্ট্রি এন্ড একাডেমিয়া ফর দ্যা গ্রোথ অফ প্রাইভেট সিকিউরিটি সার্ভিস ইন বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রবেশনাল সিকিউরিটি সার্ভিসেস প্রোপাইটরস এ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএসএসপিএ) সভাপতি লে: কর্নেল (অব:) খালিদ আজম। সভাপতিত্ব করেন এস. এম. আক্তারুজ্জামান।
সেমিনারে কী-নোট স্পিকার হিসেবে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আজিজ, মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, মো: গোলাম রসুল। এছাড়া সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন- প্রাইভেট সিকিউরিটি কোম্পানী ও সংশ্লিষ্ট এ্যাসোসিয়েশন, করপোরেট হাউজ, ব্যাংক, বীমা ও বিশ্ববিদ্যালয়রে অধ্যাপক, নরিাপত্তা বশ্লিষেকসহ সংশ্লষ্টি দেশী-বিদেশী স্বচ্ছোসবেী সংগঠনরে প্রতনিধিগিণ এবং এনজিওসমূহের প্রতিনিধি এবং পুলিশ স্টাফ কলেজের অনুষদ সদস্যরা।
এদিকে প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বিন কাশেম, মাঈনুর রহমান, রেজা আহমেদ চৌধুরী, মো: হাতেম প্রমুখ সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেক্টর বলেন, সিকিউরিটি সার্ভিস সংস্থাগুলো এগিয়ে এলে কলেজের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে। দক্ষ জনবল সৃষ্টিতে সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট কোর্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রাইভেট সিকিউরিটি সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রিগুলো খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ফলে ভবিষ্যতে এ সেক্টরে দক্ষ জনবলের একান্ত প্রয়োজন। পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ একাডেমিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এ লক্ষ্যে অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রাইভেট সিসিউরিটি এবং পুলিশ একই লক্ষ্যে তথা একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করছে। পারস্পরিক সহযোগিতা এ ক্ষেত্রে সেতু বন্ধনের ভূমিকা পালন করতে পারে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল হিসেবে প্রাইভেট সিকিউরিটি সংস্থার কর্মীদের গড়ে তোলা সম্ভব হলে একদিকে যেমন এ সেক্টরে জনবলের ঘাটতি পূরণ হবে, অন্যদিকে বাংলাদেশে তরুণ জনগোষ্ঠির জন্য দেশে ও বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, দুই সেমিস্টার, ৪০ ক্রেডিট সমৃদ্ধ এ কোর্সটি বাস্তবায়নে এ সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের মূল্যবান মতামত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে লে: কর্নেল (অব:) খালিদ আজম বলেন, এটি সময় উপযোগী একটি সেমিনার। এ খাতকে সমৃদ্ধ করার জন্য এ ধরণের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তিনি উল্লেখ করেন, প্রাইভেট সিকিউরিটি সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রি এর উন্নতির স্বার্থে একাডেমি/শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে প্রাইভেট সিকিউরিটি সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রি এর সমন্বয় প্রয়োজন। প্রাইভেট সিকিউরিটি সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রি এর উন্নয়নে সহযোগী হিসেবে পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ-এ সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট এর উপর একটি পিজিডি কোর্স চালু করতে যাচ্ছে, যা দক্ষ জনশক্তি তৈরীর ক্ষেত্রে কলেজের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। তিনি পুলিশ স্টাফ কলেজের সাথে পরবর্তীতে সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত গবেষণায় সহযোগিতা প্রদান করার আশ্বাস প্রদান করেন।
কালের আলো/ডিএস/এমএম