তথ্যমন্ত্রী বললেন, ‘দিস ইজ ম্যালইনফরমেশন, অপসাংবাদিকতা’
প্রকাশিতঃ 4:12 pm | July 19, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
হিরো আলমের ওপর মারধরের ঘটনায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি বা অ্যামনেস্টির টুইটকে জাতিসংঘের ও অ্যামনেস্টির বিবৃতি হিসেবে প্রচার করাকে অপসাংবাদিকতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, দেখুন, আমি খুব আশ্চর্য হয়েছি যে জাতিসংঘের এখানকার আবাসিক প্রতিনিধি কিংবা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের টুইটকে জাতিসংঘের ও অ্যামনেস্টির বিবৃতি হিসেবে প্রচার করা হয়েছে। এভাবে যেটি যা না, সেটিকে তার হিসেবে প্রচার কিংবা সংবাদ তৈরি করা, দিস ইজ ম্যালইনফরমেশন, অপসাংবাদিকতা।
বুধবার (১৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, (হিরো আলমের ওপর) এই হামলার কোনো প্রয়োজন ছিল না। অনুচিত। আমরা গতকালই (১৮ জুলাই) এর নিন্দা জানিয়েছি। যারা এটি করেছেন, তারা সরকারি দলের ওপর কালিমা লেপন করতে চেয়েছেন। নির্বাচন কমিশন বা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এটি করেছেন। সরকার দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তদন্ত চলছে, সেখানে কাদের ইন্ধন ছিল, তা খুঁজে বের করা হচ্ছে। কিংবা এই ঘটনা ঘটাতে যে প্রার্থীকে হেনস্থা করা হয়েছে, তার পক্ষ থেকে উসকানি ছিল কিনা; তা খতিয়ে দেখা হবে।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি যদি একটি টুইট করি বা স্ট্যাটাস দিই, সেটি কি সরকারের বক্তব্য হবে? আমি তো তথ্যমন্ত্রী ও দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। কাজেই জাতিসংঘের এখানকার আবাসিক প্রতিনিধি কিংবা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের একটি টুইটকে তাদের বিবৃতি কিংবা উদ্বেগ হিসেবে প্রচার করা সমীচীন না, অপসাংবাদিকতার পরিচয়। অনুরোধ করবো, এগুলো থেকে সবাইকে বিরত থাকতে, সতর্ক থাকতে।
তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। সেটি নিয়ে তো সেখানকার জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির কোনো টুইট দেখলাম না। বাংলাদেশে পান থেকে চুন খসলেই এভাবে টুইট করা বা কিছু একটা বলা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অতি নাক গলানোর শামিল।
তিনি বলেন, আমাদের ঘরের বিষয়ে নাক গলাতে আমরাই তাদের উৎসাহ দিই। আমরাই তাদের হাতে পায়ে ধরে, তাদের আসতে উৎসাহ দিই। বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করি। এজন্য আমরাই দায়ী। এভাবে যারা দেশের বিষয়-আশয় নিয়ে বিদেশিদের দারস্থ হয়, তারা দেশবিরোধী কাজ করেন বলে আমরা মনে করি।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, দলটির বিরুদ্ধে আওয়ামী চেতনার পুলিশ লেলিয়ে দেয়া হয়েছে।
এ নিয়ে জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পুলিশ হচ্ছে রাষ্ট্রের। তারা কোনো দলের না। তাদের দায়িত্ব হচ্ছে, যে দলেরই হোক, কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। বগুড়াতে বিএনপির যেখানে যাওয়ার অনুমতি ছিল না, সেখানে তারা যাওয়ার চেষ্টা করেছে। তারা তো লিখিত অনুমতি নিয়েছে এবং কোন কোন রুট ব্যবহার করবে, সেটি তাদের বলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা সেটি না করে ভিন্ন রুট ব্যবহার করে এবং যেখানে অনুমতি নেই, সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করে, পুলিশকে তখন ব্যবস্থা নিতে হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমকে রাস্তায় ফেলে পেটায় দুর্বৃত্তরা। হামলাকারীদের গলায় নৌকা প্রতীকের কার্ড ঝুলতে দেখা যায়।
সোমবার (১৭ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভোট চলাকালে রাজধানীর বনানী এলাকায় বেধড়ক মারধর করা হয় হিরো আলম।
কালের আলো/ডিএস/এমএম