বিশ্ব মঞ্চে ‘দুর্যোগ সহনীয় নগরী’ গড়তে সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা প্রতিমন্ত্রী এনামুরের কন্ঠে

প্রকাশিতঃ 10:35 pm | September 21, 2022

কালের আলো রিপোর্ট :

২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪৮ টি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে বাংলাদেশ। নগরায়ণের শিল্প ঝুঁকিও বাড়ছে প্রতিনিয়ত। নগরায়ন পরিকল্পনায় দুর্যোগ মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ নিশ্চিত করার মাধ্যমে ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবেলায় ‘দুর্যোগ সহনীয় নগরী’ গড়তে সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: এনামুর রহমান।

তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ বড় ধরনের ভূমিকম্পের সম্মুখীন হয়নি। এই ধরনের দুর্যোগের জন্য শহরগুলোকে আরও প্রস্তুতি ও ঝুঁকি কমানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) অষ্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনের গ্রেট হলে এশিয়া-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। ৪০ টি দেশের মন্ত্রীরা এবার চার দিনব্যাপী এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।

বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও নগরায়ণের প্রবণতা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় ঝুঁকি কমাতে পরিকল্পিত উন্নয়ন প্রয়োজন জানিয়ে আশাবাদী উচ্চারণ করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস (ডিআরআর) ও নানা প্রতিকূলতা মোকাবেলা করার জন্য অভিযোজন প্রক্রিয়ায় জোর দেওয়া হয়েছে।

নগরীতে ঝুঁকিতে থাকা মানুষের ঝুঁকি হ্রাস করতে নিরাপদ এবং স্থিতিস্থাপক শহরের জন্য ভবন নির্মাণ বিধি অনুসরণ করার জন্য সরকার জাতীয় বিল্ডিং কোড প্রস্তুত ও প্রয়োগসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে।

বাংলাদেশে ২০১৫ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস (ডিআরআর) কৌশল বাস্তবায়নে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: এনামুর রহমান একাধিক উদ্যোগ গ্রহণের সার সংক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, ২০১৯ সালে স্ট্যান্ডিং অর্ডার অফ ডিজাস্টার (এসওডি), ২০১৬-২০ পর্যন্ত ন্যাশনাল প্ল্যান ফর ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট (এনপিডিএম) বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এগুলো সেন্ডাই ফ্রেমওয়ার্ক, সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস (এসডিজএস) এবং স্থিতিস্থাপকতার জন্য প্যারিস অ্যাগ্রিমেন্ট অফ ক্লাইমেট চেঞ্জ ২০১৫ থেকে ২০৩০’র সঙ্গে সম্পর্কিত।

জলবায়ু পরিবর্তন বিপর্যয় ও ভূমিকম্পের মতো মহাবিপর্যয়ের ঝুঁকি এবং দুর্বলতা বিবেচনা করে আমরা অভ্যন্তরীণ স্থানচ্যুতি ব্যবস্থাপনা ২০২১ এবং এর অন্তর্ভুক্ত নগর দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস (ডিআরআর) পুনর্বাসনের জন্য একটি জাতীয় কৌশল তৈরি করেছি’- যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী। জানান, স্থানীয় পর্যায়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি থাকার কথাও।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস (ডিআরআর) নগর স্থিতিস্থাপকতা উন্নীত করার জন্য সমন্বয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশদ এলাকা পরিকল্পনা (ড্যাপ) স্থানীয় সরকারসহ অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার মধ্যে সম্মিলিত কাজের মাধ্যমে ঝুঁকি হ্রাস অন্তর্ভুক্ত করেছে।

কালের আলো/ডিএস/এমএম