দেশে এখন বিচারবহির্ভূত হত্যা নেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশিতঃ 6:50 pm | August 14, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা এখন নেই জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিচারবহির্ভূত হত্যার বিষয়ে কোনো তথ্য পেলে সরকার তা তদন্ত করবে।
রোববার (১৪ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ঢাকা সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন ড. মোমেন।
এর আগে সকালে চারদিনের সফরে ঢাকায় আসেন ব্যাচেলেট। জাতিসংঘের কোনো মানবাধিকার প্রধানের এটিই প্রথম বাংলাদেশ সফর।
মিশেলের সফরের প্রাক্কালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বার্তায় বলা হয়েছে, মানবাধিকার বিষয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ। নাগরিকের অধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এ সফর একটি উপলক্ষ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যার বিষয়ে তারা বলেনি। আমরা নিজে থেকে বলেছি। এ রকম বলা হয়েছে যে, কিছু লোককে কিলিং করা হয়েছে। আমাদের এখানে আগে হতো এটা- ২০০০, ২০০৩ ওই সময়ে। বিচারবহির্ভূত হত্যার বিষয়ে কোনো তথ্য পেলে তদন্ত করা হবে।
বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে ড. মোমেন জানান, কিছু কিছু লোক নাকি বলেছে যে, ৭৬ জন লোক গত ১০ বছরে নিখোঁজ হয়ে গেছে। তারা বলেছে, সরকার নাকি নিখোঁজ করেছে। ৭৬ জনের মধ্যে আবার ১০ জনকে দেখা যায় পাওয়া গেছে। বাকিগুলো আমরা ঠিক জানি না। পরিবার কোনো তথ্য দেয় না। পরিবারকে বলা হয়, তারা ভয়ে আর কোনো তথ্য দেয় না। আমরা জানি না তারা কোথায় গেছেন।
আলোচনায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রসঙ্গটি এসেছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওদের (জাতিসংঘ) ধারণা বাংলাদেশে টেলিভিশন মিডিয়া এগুলোতে কোনো ফ্রিডম নেই। কেউ নিজের কথা বলতে পারে না। তাদের (গণমাধ্যম) সেন্সর করে। আমি বলেছি, আমার এমন কিছু জানা নেই। আমি তো দেখি আমাদের মিডিয়া ভেরি স্ট্রং। প্রাইভেট টেলিভিশন একটা কথা বললেই ধরে ফেলে।
মিডিয়ার স্বাধীনতার প্রসঙ্গে বলেছি, আমরা এ সম্পর্কে জানি না। কিন্তু কেউ কেউ মনে হয় মনে করে। তারা মনে মনে চিন্তা করে। তাদেরকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে অনেকগুলো মিডিয়া রেজিস্টার্ড হয়েছে। বাংলাদেশে সরকারের মিডিয়া ছাড়া কোনো মিডিয়া নেই। আমি বললাম, সারা দেশে নাকি ২ হাজার ৮০০ পত্রিকা বের হয়। সরকার এগুলোর সেন্সর করে বলে আমার জানা নেই। সরকারের এত ক্ষমতাও নেই, বলেন মোমেন।
দেশে সিভিল সোসাইটির প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মোমেন বলেন, দেশে সিভিল সোসাইটি নাকি নেই। এটা আমরা জানি না। সিভিল সোসাইটি তো সব জায়গায় থাকে। এনজিও আমাদের দেশে শতশত, কয়েক হাজার। এখানে প্রাইভেট ভলানটিয়ার অরগানাইজেশন খুব বেশি নেই।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে জাতিসংঘ খুব উদ্বিগ্ন এবং এ সমস্যা সমাধানে তারা আমাদের সহযোগিতা করবে বলেও উল্লেখ করেন মোমেন।
কালের আলো/এসবি/এমএম