বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি সামলাতে সরকার সিলেটবাসীর পাশে থাকবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশিতঃ 8:58 pm | May 22, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
বন্যা দুর্গত মানুষের কল্যাণে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেছেন, অতি বৃষ্টি, পাহাড়ী ঢল ও উজান থেকে নেমে পানিতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যার ক্ষয়ক্ষতি পোষিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগবে। তবে, বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি সামলাতে সিলেটবাসীর পাশে থাকবে সরকার।
রবিবার (২২ মে) দুপুরে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে সিসিকে আয়োজিত সিলেটে মহানগরীতে বন্যা প্লাবিত এলাকার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামত, পুনঃনির্মাণ, ক্ষতিগ্রস্ত বাসা-বাড়ির তালিকা প্রণয়ন এবং নগরকে বন্যামুক্ত রাখতে করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি’র এক জরুরি সভায় জুম-এর মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশন প্রাকৃতিক এই দুর্যোগ পরবর্তি ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক, বাড়ি ঘরের তথ্য সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠালে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বিশেষ করে সুরমা নদী খনন, মহানগরের পুকুর-দীঘি উদ্ধার ও খনন এবং ছড়াগুলোকে শতভাগ উদ্ধার করার নির্দেশণা দেন তিনি।
এমন প্রাকৃতিক দুযোর্গ থেকে মহানগর রক্ষায় স্বল্প, দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা প্রনয়নের উপর গুরুত্ব দেন তিনি।
সভায় প্লাবিত এলাকার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক মেরামত, পুনঃনির্মাণ, ক্ষতিগ্রস্থ বাসা-বাড়ির তালিকা প্রণয়ন এবং নগরকে বন্যা মুক্ত রাখতে করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে সিলেট সিটি কর্পোরেশন, সওজ এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি উচ্চতর সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়।
সভায় সিলেট মহানগর এলাকার প্লাবিত এলাকার নাগরিকদের ত্রান বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা ও বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও সভায় আগামী বর্ষাকালে যাতে বন্যার পানি মহানগরে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনা প্রনয়ন বিষয়ে প্রস্তাব গৃহীত হয়।
এর আওতায় মহানগেরের যে সকল এলাকায় নদীর পাড় নিচু সেসব পাড় উঁচু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বন্যা থেকে সিলেট মহানগরকে রক্ষায় সুরমা নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে নদী খননের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। এ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের গবেষনা পূর্বক সরকারের নিকট প্রস্তাবনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা সভায় দ্রুত সময়ের মধ্যে মহানগরের প্লাবিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, বাসা-বাড়ির তালিকা প্রনয়ন ও করণীয় বিষয়ক স্ববিস্তার প্রতিবেদন মন্ত্রনালয়ে প্রেরণের সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়। সভায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর, মহিলা কাউন্সিলর, সিলেটের সকল দপ্তর-সংস্থার প্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।
কালের আলো/ডিএস/এমএম