যে কোনো সময়ে ব্লাকআউট পুরো ব্রিটেন!

প্রকাশিতঃ 4:34 pm | April 02, 2020

ডেস্ক রিপোর্ট, কালের আলো:

করোনা মহামারীর কারণে যেকোনো সময় ব্লাকআউট হতে পারে পুরো ব্রিটেন। নিমিষেই অন্ধকারের কালো গহবরে নিমজ্জিত হতে পারে আলো ঝলমল সব নগরী।

ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবেলায় নগরবাসীকে তাই টর্চলাইট-মোমবাতি-প্রদীপ প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

পরামর্শ দেয়া হয়েছে হাতের কাছে গরম কাপড় রাখার। দেশজুড়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাস। আক্রান্ত হচ্ছে বিদ্যুৎ ও শক্তি বিভাগের কর্মচারীরাও। কোয়ারেন্টিনে চলে যাওয়ায় ক্রমেই কমছে স্টাফ সংখ্যা।

ফলে একপর্যায়ে ভেঙে পড়তে পারে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। গ্রাহকদের কাছে চিঠি লিখে এমন সতর্কতা জারি করেছে দেশটির বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউকে পাওয়ার নেটওয়ার্ক। খবর দ্য টেলিগ্রাফের।

করোনার কারণে পুরো ব্রিটেন এখন লকডাউন। কয়েক কোটি মানুষ এখন কার্যত ঘরবন্দি। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বেশি প্রয়োজনীয় নয় এমন কর্মচারীদেরও ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। তাদের অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন। এমন অবস্থায় শিগগিরই প্রকৌশল কর্মকর্তা ঘাটতিতে পড়তে পারে এ খাত।

ফলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে অনেক বিদ্যুৎ প্রকল্প। এমন পরিস্থিতির সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে আগেভাগেই গ্রাহকদের সতর্ক করেছে বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো। ব্লাকআউট ঘটলে কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে, কীভাবে নিরাপদ থাকা যাবে, তা জানিয়ে মঙ্গলবারই গ্রাহকদের কাছে চিঠি লিখেছে ইউকে পাওয়ার নেটওয়ার্ক।

চিঠিতে গ্রাহকদের আগেই হাতের কাছে টর্চলাইট, প্রয়োজনীয় কাপড় ও কাথা-কম্বল, প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং পর্যাপ্ত খাবার রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। যাতে বিদ্যুৎ চলে গেলেও প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ও আলোর স্বল্পতা পূরণ করা যায়। এছাড়া অব্যবহৃত ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

এছাড়া ফ্রিজ খোলা থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে। ইউকে পাওয়ার নেটওয়ার্কের এক মুখপাত্র বলেন, এ মুহূর্তে আমরা আমাদের ‘প্রায়োরিটি সার্ভিস রেজিস্টারভুক্ত’ গ্রাহকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছি।

তাদের চাহিদা পূরণের চেষ্টা করছি। বর্তমানে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি।

প্রায়োরিটি সার্ভিস রেজিস্টারভুক্ত গ্রাহকদের মধ্যে রয়েছেন প্রতিবন্ধী ও অসুস্থ, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা এবং পাঁচ বছরের নিচে শিশু রয়েছে এমন পরিবার।

ব্রিটেনে মঙ্গলবার নতুন করে ৩৯৩ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনাভাইরাস; যা এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে দেশটিতে করোনায় প্রাণ হারাল এক হাজার ৭৮৯ জন। আক্রান্ত হয়েছে ২৫ হাজার ১৫০ জন।

কালের আলো/এনআর

Print Friendly, PDF & Email