দেশি-বিদেশি ও পাহাড়ি মিলিয়ে পাপিয়ার হাতে ছিল ১৭শ তরুণী

প্রকাশিতঃ 7:48 pm | March 01, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

গ্রেপ্তারের পর থেকেই নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়ার নানা অপকর্মের বিষয়ে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য বের হচ্ছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, পাপিয়ার ওমেনাইজিং বিজনেসের সাথে জড়িত ছিল ১৭শ’ সুন্দরী নারী। এসব নারীদের বিভিন্ন কৌশলে কাজে লাগিয়ে তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন ক্ষমতার শীর্ষস্থানীয়দের কাছে। দেশের ৬৪ জেলায়ই ছিল তার নেটওয়ার্ক।

জানা গেছে, রিমান্ডে স্বর্শকাতর ও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন পাপিয়া। বাংলাদেশ স্কট সার্ভিস লিমিটেড নামে একটি অনলাইন গ্রুপের যাত্রা শুরু হয় পাপিয়ার হাত ধরে। ওই স্কট সার্ভিস থেকেই অভিজাতদের কাছে নারী সরবরাহ করা হতো।

এছাড়া নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, ডিবিতে জিজ্ঞাসাবাদে পাপিয়া ও তার স্বামী সুমন চৌধুরী তাদের দুর্বৃত্তায়নের অনেক গোপন তথ্য জানাতে বাধ্য হয়েছেন। পাশাপাশি তাদের দুই সহযোগী সাব্বির ও তায়্যিবাকেও রিমাণ্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

পাপিয়া ও সুমন চৌধুরীর অপরাধ জগত সম্পর্কে তায়্যিবা ডিবিকে জানিয়েছেন, অনেক সময় চাহিদামতো থাইল্যান্ড, নেপাল, ভারত, ভুটান ও রাশিয়া থেকে মেয়েদের নিয়ে আসা হতো। পার্বত্য অঞ্চল থেকেও পাহাড়ি মেয়েদের নিয়ে আসতেন পাপিয়া। কারণ আদিবাসী পাহাড়ি মেয়েদের প্রতি পুরুষদের একটা বাড়তি আকর্ষণ থাকে।

তাছাড়া বিদেশ থেকে মেয়ে আনতে খরচের পাশাপাশি ঝামেলাও অনেক বেশি। এজন্য দেশের পার্বত্য অঞ্চল থেকে কম খরচে মেয়েদের নিয়ে আসতেন পাপিয়া। তারপর তাদের অসামাজিক কাজে লিপ্ত হতে বাধ্য করতেন। তবে কারও বিশেষ অর্ডার থাকলে আনা হতো বিদেশি মেয়ে। দেশি বিদেশি মিলিয়ে পাপিয়ার হাতে অন্তত ১ হাজার ৭০০ মেয়ে ছিল বলে জানা গেছে।

ডিবি সূত্র জানিয়েছে, পাপিয়া এবং তার স্বামীকে কখনো আলাদাভাবে, কখনো দুজনকে মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রিমান্ডে তাদের দুই সহযোগী সাব্বির ও তায়্যিবাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

নরসিংদী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে ৩ কোটি টাকা খরচ করেছিলেন পাপিয়া। আর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। এ কাজে তার বাজেট ছিল ১০ কোটি টাকা।

কালের আলো/এনআর/বিআর