প্রিয়ার বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহ নয়, ছোট ঘটনা : আইনমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 4:02 pm | July 21, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে প্রিয়া সাহা যে অভিযোগ করেছেন, তাতে রাষ্ট্রদ্রোহের কিছু দেখছেন না আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এই নারীর বিরুদ্ধে আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার আবেদনের পর আইনমন্ত্রী একে ‘ছোট্ট ঘটনা’ হিসেবে বর্ণনা করেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে ট্রাম্পকে যে তথ্যগুলো প্রিয়া সাহা দিয়েছেন তা সবটাই মিথ্যা। বিএনপি-জামায়াতের সময় ছাড়া বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।’

প্রিয়া সাহা তার ব্যক্তিগত ঈর্ষা চরিতার্থের জন্য এটা করেছেন বলে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘এত ছোট্ট ঘটনায় রাষ্ট্রদ্রোহ হয়ে গেছে, তা মনে করি না।’

রোববার(২১ জুলাই) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বিচারকদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এমন কথা বলেন আনিসুল হক।

গত বুধবার ট্রাম্পের ওভাল অফিসে সারা বিশ্ব থেকে যাওয়া একটি প্রতিনিধি দলের অংশ হিসেবে যান প্রিয়া। এ সময় তিনি অভিযোগ, করেন, বাংলাদেশ থেকে তিন কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান গায়েব হয়ে গেছে। তার বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, জমি কেড়ে নেয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি প্রতিকার পাননি। দেশে এক কোটি ৮০ লাখ হিন্দু রয়েছে। তারা কেউ দেশ ছাড়তে চায় না, কিন্তু তাদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন চলছে। ট্রাম্প যেন হস্তক্ষেপ করেন।

প্রিয়ার এই বক্তব্যের ভিডিও প্রকাশের পর তীব্র সমালোচনা হচ্ছে দেশে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, প্রিয়া দেশে ফিরলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তিনি মনে করেন প্রিয়ার বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহ।

এর মধ্যে আলোচিত আইনজীবী সায়েদুল হক সুমন রোববার আদালতে প্রিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আবেদন করেন। ঢাকায় আরও একটি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সিলেটেও হয়েছে আবেদন। যদিও ব্যরিস্টার সুমনের আবেদন আদালত খারিজ করে দিয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কেউ যেন প্রিয়ার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে ট্রাম্পকে যে তথ্যগুলো প্রিয়া সাহা দিয়েছেন তা সর্বৈব মিথ্যা, বিএনপি-জামায়াতের সময় ছাড়া বাংলাদেশে এমন ঘটনা কখনও ঘটেনি। এটি তিনি ব্যক্তিগত ঈর্ষা চরিতার্থের জন্য করেছেন। এত ছোট্ট ঘটনায় রাষ্ট্রদ্রোহ হয়ে গেছে, তা মনে করি না।’

কালের আলো/এআর/এমএম

Print Friendly, PDF & Email