রাজধানীতে চলাচল করা গাড়ি গণপরিবহন নয়: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 10:59 pm | April 05, 2021

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলোঃ

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, লকডাউনের মধ্যে রাজধানীতে চলাচল করা বিভিন্ন ধরনের গাড়ি গণপরিবহন নয়। অফিসের সাথে তাদের চুক্তিবদ্ধ হয়েছে, কর্মকর্তাদের আনা-নেয়ার জন্য শুধু গাড়িগুলো ব্যবহার হচ্ছে।

সোমবার (৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ কথা জানান।

তিনি বলেন, আমরা লকডাউন দিচ্ছি এক সপ্তাহের জন্য। এক্ষেত্রে বিপণিবিতান, অফিস-আদালতে সীমিত সংখ্যক কর্মকর্তা নিয়ে চালু রাখতে হবে। গণসমাবেশ ও গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। আমরা আশা করবো সবাই এটা অত্যন্ত কঠোরভাবে পরিপালন করবেন যাতে সংক্রমণ রোধ করতে পারি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানুষের গতিবিধি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে চাই, কারণ মানুষ যতই বাইরে আসবে, কাছাকাছি আসবে ততই এ সংক্রমণ বেড়ে যাবে। রাস্তায় গণপরিবহন নেই এবং মানুষের আনাগোনাও অনেক কম। সকাল থেকেই আমরা দেখতে পাচ্ছি আগের অবস্থা থেকে এখনকার অবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়েছে।

মানুষকে ঘরে থাকতে হবে, প্রত্যেককেই সহযোগিতা করতে হবে, সংক্রমণ যাতে করে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। এবার আমরা দেখছি সংক্রমণ খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। সে ক্ষেত্রে সবাইকেই সংযত আচরণ করতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

লকডাউনেও রাজধানীতে গাড়ি চলতে দেখা গেছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাজধানীতে গণপরিবহন নেই। আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ করেছেন সেটি। যদি চলে, বিভিন্ন অফিসে তাদের প্রয়োজনীয় কর্মকর্তা এনে সীমিত পরিসরে তাদের প্রয়োজন অনুসারে অফিস পরিচালনা করবেন, সে ক্ষেত্রে এই পরিবহনগুলো তারা নিজেরা ব্যবস্থা করেছেন, এগুলো গণপরিবহন নয়। অফিসের সাথে তাদের চুক্তিবদ্ধ হয়েছে, কর্মকর্তাদের আনা-নেয়ার জন্য শুধু ব্যবহার হচ্ছে।

দূরপাল্লার গাড়িও ছেড়ে গেছে- এ বিষয়ে তিনি বলেন, যদি সেটি হয় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সব মন্ত্রণালয় খোলা আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জরুরি প্রয়োজন যেগুলো সেগুলো খোলা আছে। আমাদের আগের যে নির্দেশনা সেখানে ৫০ শতাংশ বলা আছে, সে অনুযায়ী আমরা চাইলে আরো কমাতে পারি, প্রয়োজন অনুযায়ী সেখানে জনবল রাখতে হবে সেটি পরবর্তী নির্দেশনা।

বইমেলা নিয়ে এক প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, বইমেলা স্বাস্থ্যবিধি মেনে করবেন, কর্তৃপক্ষ কঠোর নজরদারিতে রাখবেন, সেক্ষেত্রে কেউ যাতে এখানে বেড়াতে না আসে। বই কেনার উদ্দেশ্যেই আসবেন। এটাকে অন্যভাবে বা বিনোদনের সোর্স হিসেবে বা ঘুরে বেড়ানো- এরকম কোনো সুযোগ এখানে থাকবে না। অত্যন্ত কঠোরতা রাখা হবে। স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব মেনে তারা তাদের বইটি কিনে আবার গন্তব্যে ফিরে যাবেন। সেভাবেই কর্তৃপক্ষ দায়-দায়িত্ব নিয়েছে, আমরাও সেটি মনিটরিং করবো।

কিন্তু এটি তো জরুরি কিছু নয় যে খোলা রাখতেই হবে- এমন প্রসঙ্গ আনলে তিনি বলেন, আজ আমরা যেহেতু বিশেষ লকডাউন শুরু করলাম এর ভেতর চিন্তাভাবনা করার আমাদের সুযোগ রয়ে গেছে।

কালের আলো/এসবিএফ/এসএস

Print Friendly, PDF & Email