নিরাপদ পানি এবং স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন প্রাপ্যতা নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার

প্রকাশিতঃ 6:53 pm | December 02, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলোঃ

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সকলের জন্য নিরাপদ পানি এবং স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের টেকসই ব্যবস্থাপনা ও প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সর্বাত্মকভাবে কাজ করছে সরকার।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-এসডিজি’র নিরাপদ পানি এবং স্যানিটেশন সংক্রান্ত লক্ষ্যমাত্রা ৬.১ এবং ৬.২ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পূরণ হবে বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।

বুধবার (২ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষ থেকে সকলের জন্য স্যানিটেশন ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে সরকারি উদ্যোগ আরও জোরদার করার লক্ষ্যে এশীয় ও প্যাসিফিক অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের সংশ্লিষ্ট সেক্টরের মন্ত্রী ও অর্থ মন্ত্রীগণের সাথে ভার্চুয়াল সভায় যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি’র ৬.১ এবং ৬.২ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে দেশে ৯.৩৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার প্রয়োজন। বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার নিকট হতে এ কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়নে প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ডলার এবং বেসরকারী খাত হতে প্রায় ১৩০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তার বিষয়ে অঙ্গীকার পাওয়া গেছে।

ওয়াটার, স্যানিটেশন খাতে সরকারের বাৎসরিক বরাদ্দ প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলার বৃদ্ধিপূর্বক এই সেক্টরে বর্তমান বাজেট গ্যাপ অর্ধেকে নামিয়ে আনতে সরকার কাজ করছে বলে জানান মন্ত্রী।

বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন, হাত ধোয়া, পরিবেশ দূষণসহ স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে জীবনজীবিকা নির্বাহের বিষয়ে জনসচেতনতা আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন সরকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের নিকট সুপেয় পানি এবং স্যানিটেশন পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।

মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, মানুষের নিকট সুপেয় পানি পৌঁছে দিতে প্রত্যেক জেলায় টেস্টিং ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে। এ লক্ষ্যে একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। পৌর এলাকার পাশাপাশি গ্রাম অঞ্চলের পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করার লক্ষ্যে অনেক মেগা প্রজেক্ট হাতে নেওয়া হচ্ছে। সরকার পানি সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ভূ-উপরিস্থ পানি বা সারফেস ওয়াটারের ব্যবহার প্রাধান্য দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, ২০২২ সালের মধ্যে আর্সেনিক দূষণ আক্রান্ত এলাকার প্রায় ২০ লক্ষ জনগণকে আর্সেনিক দূষণমুক্ত নিরাপদ পানি সরবরাহের আওতায় এবং নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনা ৫ শতাংশ বৃদ্ধি ও ৭৫ শতাংশ জনগণকে বেসিক স্যানিটেশন কভারেজ ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে।

করোনা মহামারীর মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাস্তবভিত্তিক উদ্যোগ এবং নির্দেশনার বিষয় সম্পর্কে সভায় সকলকে অবহিত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি আগের মতোই স্থিতিশীল রয়েছে।

সভায় আফগানিস্তান, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, ভারত, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ, লাওস, কম্বোডিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, মিনারমার, পাকিস্তান, ভূটানসহ এশীয় অঞ্চল দেশের মন্ত্রী এবং উন্নয়ন সহযোগীর প্রতিনিধিরা অংশ গ্রহণ করেন।

প্রসঙ্গত, সকলের জন্য স্যানিটেশন ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে এশীয় ও প্যাসিফিক অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের সংশ্লিষ্ট সেক্টরের মন্ত্রী ও অর্থ মন্ত্রীগণের অংশগ্রহণে প্রতি দুই বছর পর পর বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তর ওয়াশিংটন ডিসিতে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। কোভিড-১৯ এর কারণে এ বছর ওয়াশিংটনে একত্রিত হতে না পারলেও স্যানিটেশন এন্ড ওয়াটার ফর অল (SWA)এর আয়োজনে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়।

কালের আলো/বিএসএ

Print Friendly, PDF & Email