ইভ্যালির ব্যবসা পর্যালোচনা করতে ই-ক্যাবের ৭ সদস্যের কমিটি

প্রকাশিতঃ 9:45 pm | September 01, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস ইভ্যালির ব্যবসা পদ্ধতি পর্যালোচনা করতে ৭ সদস্যের পর্যালোচনা কমিটি গঠন করেছে ই-ক্যাব। সাম্প্রতিক সময়ে ই-ক্যাবের সদস্য প্রতিষ্ঠান ইভ্যালী সম্পর্কে পত্রিকায় প্রতিবেদন এবং বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের তথ্য চাওয়ার আলোকে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (০১ সেপ্টেম্বর) ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই- ক্যাব) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায়।

ই-ক্যাব জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষক ও ই-ক্যাবের ১ জন প্রতিনিধি রয়েছেন এই কমিটিতে। তাদের মধ্যে দুইজন পেমেন্ট বিষয়ে, একজন আর্ন্তজাতিক ব্যবসায়, একজন ই-কমার্স স্ট্রেটিজিস্ট ও একজন ই-কমার্স গবেষক রয়েছেন। এছাড়া একজন আইনজ্ঞ এই কমিটিতে যুক্ত হয়েছেন।

কমিটির সদস্যরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট (আই আই টি) এর সহযোগী অধ্যাপক ড. বি এম মইনুল হোসেন, ঢাবির মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ই-লার্নিং স্ট্যাটিজিস্ট ড. রাফি উদ্দীন আহমেদ, আইবিএর সহযোগী অধ্যাপক মোঃ ইফতেখারুল আমিন, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সূবর্ণ বড়ুয়া।

এছাড়া ফায়সাল মাহমুদ সজিব, এসিএ, ফাউন্ডার এন্ড পার্টনার: এসিসিফিনট্যাক্স, ব্যরিস্টার শাওন এস নোবেল, (শাওন নোবেল এন্ড এসোসিয়েট), সাদরুদ্দীন ইমরান, চেয়ারম্যান, ইক্যাব রিসার্চ স্ট্যান্ডিং কমিটি, সিইও, ইনোভেশন কনসাল্টিং প্রাইভেট লিমিটেডও কমিটিতে রয়েছেন।

ই-ক্যাব সূত্রে জানাযায়, ইতোমধ্যে কমিটি দুই-দফা বিভিন্ন কৌশলগত সভা করেছে। দুই একদিনের মধ্যে কমিটির সদস্যগণ ইভ্যালী অফিস পরিদর্শন করবেন, ইভ্যালীর সঙ্গে কৌশলগত আলোচনা করবেন এবং কমিটি আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন পেশ করবেন। বিশেষ করে ইভ্যালির ব্যবসায় পদ্ধতি, এমএলএম সম্ভাব্যতা, বিভিন্ন অফারের আইনগত দিক এবং ক্রেতা-ভোক্তাদের অভিযোগসমূহ খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। এছাড়া এই কমিটিকে সহযোগীতা করার জন্য ই-ক্যাবের ৫ সদস্যের একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। রিভিউ কমিটির প্রতিবেদনকে যাচাই বাছাই শেষে পর্যালোচনা কমিটি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করবেন।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি অনলাইনে পণ্য কেনাবেচার প্রতিষ্ঠান ‘ইভ্যালি’র বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। এরইমধ্যে প্র‌তিষ্ঠান‌টি এবং এর চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেলের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।

কালের আলো/এসআর/এমএইচএ

Print Friendly, PDF & Email