কাউন্সিলর মিজানকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ

প্রকাশিতঃ 7:01 pm | January 26, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজানকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার(২৬ জানুয়ারি) দুপুর ১টা থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পাঁচ দিনের রিমান্ডের প্রথম দিন জিজ্ঞাসাবাদ করছে সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান।

গত ২ জানুয়ারি উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পাগলা মিজানের পাঁচ দিনের রিমান্ড আদেশ দেন আদালত।

গত ৬ নভেম্বর ডিএনসিসির ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান ওরফে পাগলা মিজানের বিরুদ্ধে দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় মিজানের বিরুদ্ধে ৩০ কোটি ১৬ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন অভিযোগ আনা হয়েছে।

পাগলা মিজানের সম্পদ : মামলায় হাবিবুর রহমান ওরফে পাগলা মিজানের সম্পত্তির বিষয়ে বলা হয়, তিনি মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন বসিলার ৩০ কাঠা জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ করেছেন। এ মার্কেটের আশপাশে ৪৮২ কাঠা জমি দখল করে ২০টি টিনের দোকান করে ভাড়া দিয়েছেন কাউন্সিলর মিজান।

মিজান লালমাটিয়া বি ব্লকে সরকারি জমি অবৈধভাবে দখল করে ‘স্বপ্নপুরি হাউজিং’ গড়ে তুলেছেন। একই এলাকায় ১০ কাঠা জমিতে ‘পপুলার অর্কিড’ নামে ছয় তলা ভবন, পাশে ১০ কাঠা জমিতে ‘ইমপেরিয়াল গার্ডেন’ নামে ছয় তলা ভবন, ১০ কাঠা জমিতে দুই ইউনিট বিশিষ্ট ছয় তলা ভবন নির্মাণ করেছেন।

অন্যদিকে, ‘স্বপ্নপুরী হাউজিং কমপ্লেক্সে’ এর ২ হাজার গজ দূরে ১৫ কাঠা জমিতে নির্মাণাধীন সাত তলা ‘আড়ং মার্ট’ ভবনের মালিক মিজান বলে এহাজারে বলা হয়। এসব ভবনে নির্মাণে তিনি ১৯ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

কাউন্সিলর পাগলা মিজানকে র‌্যাবের একটি বিশেষ টিম গত ১১ অক্টোবর মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থেকে গ্রেপ্তার করে। ওই সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগজিন এবং নগদ দুই লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় শ্রীমঙ্গলে এবং অর্থ উদ্ধারের ঘটনায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় অর্থপাচার আইনে দুটি মামলা করা হয়।

কালের আলো/বিআর/ডিএএ

Print Friendly, PDF & Email