অসাম্প্রদায়িক চেতনার ক্ষেত্রে সরকারের অবস্থান ‘জিরো টলারেন্স’ : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
প্রকাশিতঃ 9:19 pm | October 25, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
মুসলমান, হিন্দু, বোদ্ধসহ সব ধর্মেই উগ্রবাদী রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি ধর্মীয় উগ্রবাদ সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, যারা ধর্মীয় উগ্রবাদ ও মতবাদ সৃষ্টি করেন, তারা মুলত তাদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য এ কাজ করেন।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর চকবাজারে শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনার ক্ষেত্রে আমাদের সরকারের অবস্থান ‘জিরো টলারেন্স’। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার, এই নীতিতে সরকার বদ্ধপরিকর।
তিনি আরো বলেন, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই একসঙ্গে বসবাস করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করেছেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়কালে কিছু গোষ্ঠী ধর্মীয় বিভাজন তৈরি করেছেন। পরে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে বিভাজন দূর দূর করেছেন। এখন হিন্দু-মুসলিম সবাই একসঙ্গে যার যার উৎসব পালন করে থাকে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।

স্বাগত বক্তব্যে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. কিশোর রঞ্জন মন্ডল বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এ বছর ৩১ হাজার ৩৯৮টি পূজা হয়েছে, যা গতবছরের তুলনায় ৪৮৩ টি বেশি।
সারাদেশে আনন্দমুখর পরিবেশে দুর্গোৎসব শেষ হয়েছে। কোথাও কোন দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এটি বাংলাদেশের হাজার বছরের অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্যের প্রতিফলন।
সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া, রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী পূর্ণাত্নানন্দ মহারাজ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী মিলন কান্তি দত্ত,বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক শ্রী নির্মল কুমার চ্যাটার্জী।
কালের আলো/এনআর/এমএইচএ