কোটা সংস্কার চাচ্ছেন ছাত্রলীগ নেতারাও

প্রকাশিতঃ 2:35 am | March 20, 2018

উবায়দুল হক, কালের আলো:

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের পক্ষে এবার সরব হয়েছেন ছাত্রলীগ নেতারাও। ‘কোটা সংস্কার চাই’ নামের সাড়ে ৭ লক্ষাধিক সদস্যের ফেসবুক গ্রুপে নিজেদের সমর্থন জানান দিচ্ছেন তারা।

সোমবার ওই গ্রুপে দেওয়া স্ট্যাটাসের পর তাদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশও করছেন আন্দোলনকারিরা। সকলের সমর্থন তাদের দাবির বিষয়টি দ্রুত সফলতার মুখ দেখবে বলে আশা প্রকাশ করছেন আন্দোলনকারিরা।

গত রোববার ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজে মানববন্ধনে বক্তৃতাকালে সরাসরি এ দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রকিবুল ইসলাম রকিব। সেইসঙ্গে আন্দোলনকে সফল করতে দিক নির্দেশনামূলক স্ট্যাটাসও দিয়েছেন তিনি।

দাবির প্রতি সমর্থন ও কোটা সংস্কার চেয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-সভাপতি জয় তালুকদার লিখেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাহী, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের গর্বিত সৈনিক হিসেবে আমি একথা দৃপ্তভাবে বলতে চাই যে, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার বাংলাদেশকে উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে উন্নীত করতে প্রজাতন্ত্রের সকল স্তরে প্রকৃত মেধাবী তরুণ প্রজন্মের বলিষ্ঠ অবদান অত্যাবশ্যক।’

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনিরুজ্জামান মনির এ দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

সমর্থন জানিয়েছেন ঢাবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু জাফর সোহাগ।

ঢাবি ছাত্রলীগের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ ইমতিয়াজ শুভ্র লিখেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনে শুরু থেকে ছিলাম, এখনও আছি। দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে, বর্তমান সময়ে এটা অত্যন্ত যৌক্তিক দাবি বলে আমি মনে করি। বৈষম্য করা এবং বৈষম্যকে সমর্থন করা নীতিগত বলে আমি মনে করি না। এমন যৌক্তিক অহিংস আন্দোলনে অামি ছাত্রজনতার সাথে অাছি এবং থাকবো।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাংকিং ও বীমা বিভাগের সাধারন সম্পাদক হেলাল মাহমুদ লিখেছেন, ‘আপনাদের সাথে আছি, ন্যায্য দাবি আদায়ে ছিলাম, আছি এবং থাকব, আগামী ২৫ তারিখ খালি গায়ে, পিঠে ও বুকে দাবিসমুহ লিখে হাজির হব ইনশাল্লাহ।’

কোটা সংস্কার চেয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন আনন্দমোহন কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক দ্বীপ চকলাদার আকাশ। তিনি নিজেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে রাজপথের একজন আন্দোলনকারি বলেও জানান এক স্ট্যাটাসে।

প্রসঙ্গত, আন্দোলনকারিদের দাবিগুলো হলো: কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নিয়ে আসা, কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধা থেকে শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া, কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ পরীক্ষা না নেওয়া, সরকারি চাকরিতে সবার জন্য অভিন্ন বয়সসীমা এবং চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার না করা।

 

কালের আলো/ওএইচ