বাজেটকে জনকল্যাণমুখী, ব্যবসা সহায়ক : এফবিসিসিআই

প্রকাশিতঃ 6:19 pm | June 15, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

নতুন বাজেটকে জনকল্যাণমুখী ও ব্যবসা সহায়ক বলে আখ্যায়িত করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। আশা প্রকাশ করে সংগঠনটি বলছে, এটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনার বাস্তবায়নকে ত্বরান্বিত করবে।

শনিবার(১৫ জুন) মতিঝিল ফেডারেশন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে বাজেটের ২০টি ইতিবাচক দিক তুলে ধরেছে সংগঠনটি।

তারা জানিয়েছে, তারা বাজেট নিয়ে আরও বিশ্লেষণ করছেন, ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সংগঠনগুলোর মতামতের ভিত্তিতে বিস্তারিত প্রস্তাব পরে অর্থমন্ত্রীকে দেয়া হবে।

আওয়ামী লীগের টানা তৃতীয় মেয়াদের প্রথম দফা ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট সংসদে পেশ করা হয়েছে। পাঁচ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকার এই বাজেট আগের বছরের চেয়ে ১৮ শতাংশ বড়।

নতুন বাজেটকে মোটা দাগে স্বাগত জানিয়েছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি(এমসিসিআই)। তবে করপোরেট করের হার না কমায় হতাশা প্রকাশ করেছে তারা।

আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় এ বাজেটে ৭০ শতাংশ খুশি বলে জানিয়েছে বিজিএমইএ। তারা বলছে, প্রস্তাবিত বাজেট যেমন ব্যবসা সহায়ক, তেমনি জনকল্যাণমুখী।

তবে শুধু ঘাটতি পূরণে দেশের ব্যাংক ঋণের উপর নির্ভরতা কমাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা ।

সংবাদ সম্মেলনে এফবিসিসিআইর সহসভাপতি ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, অতীতের বাজেটগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে এই বাজেটে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবসার সুযোগ-সুবিধা বেড়েছে। কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা থাকলেও তা আলোচনার মাধ্যমে সংশোধনের সুযোগ এখনও আছে।

লিখিত বক্তব্যের বাইরে এফবিসিসিআই নেতারা বলেছেন, বড় আকারের এই বাজেট বাস্তবায়নে যেন ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার না হয়।

‌‘সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, গবেষণা ও উন্নয়ন, উদ্ভাবন, আইসিটি, অবকাঠামো, আর্থ-সামাজিক, দারিদ্র্য বিমোচন, মানবসম্পদ, শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ায় এবারের বাজেট যুগোপযোগী হয়েছে,’ বললেন এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।

তিনি বলেন, যুব সমাজকে উদ্যোক্তা বানাতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ, মুক্তিযোদ্ধা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা, অসচ্ছল প্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন সুবিধা বঞ্চিত মানুষের জন্য সুবিধা বৃদ্ধি একটি মানবিক উদ্যোগ।

১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী জনশক্তির বিপরীতে প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কর রেয়াত সুবিধা সামাজিক দায়িত্বশীলতার চর্চাকে উৎসাহিত করবে বলে মনে করেন শেখ ফাহিম।

রাজস্ব আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তা সহজ, স্বচ্ছ এবং ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আদায় করা হবে এবং হয়রানিমুক্ত হবে বলে আশা করছে এফবিসিসিআই।

কালের আলো/এআর/বিএমএম

Print Friendly, PDF & Email