৩৬ দিনব্যাপী জুলাই অভ্যুত্থান উদযাপন নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাল এবি পার্টি
প্রকাশিতঃ 9:10 pm | June 27, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
আগামী ১ জুলাই থেকে ৩৬ দিনব্যাপী ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অন্তর্র্বতী সরকার। রাজনৈতিক দল হিসেবে তাতে শরিক হবে কি না, সে বিষয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পাটি বা এবি পার্টি।
শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে রাজধানীর বিজয় নগরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু ঘোষণা দেন, তারা ৩৬ দিনব্যাপী ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ উদযাপন করবেন। এ উপলক্ষে প্রতীকী রোডমার্চ, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচি তুলে ধরেন।
এবি পার্টির ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ১৪ জুলাই স্মরণে প্রতীকী মিছিল, রংপুরে শহীদ আবু সাঈদের কবরে দোয়া ও দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ, গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী নারীদের প্রতীকী সম্মাননা প্রদান ও সংবর্ধনা, রায়েরবাজারে গণকবরে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও দোয়া, আলোচনা সভা, প্রতীকী রোডমার্চ ও পথসভা, স্মারকলিপি প্রদান এবং প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন।
আগামী ১ জুলাই শুরু হয়ে এসব কর্মসূচি ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলবে।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘রাষ্ট্র ক্ষমতা পরিবর্তনের মাধ্যম হচ্ছে নির্বাচন। কিন্তু ক্ষমতাসীনরা সবসময় নির্বাচন ছাড়া জোর করে তাদের ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে চেয়েছে। পাকিস্তানি সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ৭০-এর নির্বাচন আদায় করা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু তারা গণহত্যা চালিয়ে সে নির্বাচনের ফল বাস্তবায়ন করতে দেয়নি। ফলে অনিবার্য হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ। যা দেশের মানচিত্র, পতাকা ও ভূখণ্ড নতুন করে নির্ধারণ করেছিল।’
তিনি বলেন, ’৯০-এর গণআন্দোলনের পর ৯১-এ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছিল, যা সংবিধানে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করতে হয়েছে। নব্বইয়ে তিন জোটের রূপরেখা ঘোষণা করে রাষ্ট্র পরিচালনার অঙ্গীকার করা হয়েছিল।’
মঞ্জু বলেন, ‘শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসন তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলসহ সকল কিছু ধ্বংস করে দিয়ে গেছে।’
নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পতন হয়নি উল্লেখ করে মঞ্জু বলেন, ‘হাজার হাজার মানুষের রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকে সিংহাসন ছেড়ে পালাতে হয়েছে। সুতরাং শুধু একটা নির্বাচন করে ক্ষমতায় নতুন সরকার বসলেই গণঅভ্যুত্থানের অঙ্গীকার পূর্ণ হবে না, বরং একাত্তর, নব্বই ও চব্বিশের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সকলে ঐকমত্যে পৌঁছার মাধ্যমে একটা সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে নতুন মাত্রায় উপনীত করতে হবে।’
তিনি সকলকে সেই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ঐকমত্যে পৌঁছার আহ্বান জানান।
কালের আলো/এএএন