আগামী সপ্তাহে চীনে ৫০ টন আম রপ্তানি করবে বাংলাদেশ: কৃষি সচিব
প্রকাশিতঃ 6:49 pm | May 21, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
আম উৎপাদনে শীর্ষ দশে থাকলেও নানা বাধায় রপ্তানিতে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। তবে বর্তমান সরকার চীনকে আম রপ্তানির নতুন গন্তব্য বানাতে চায়। এতে রপ্তানিকারকদের মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে। গুণগত মান ঠিক রেখে আম উৎপাদন করে রপ্তানিতে এবার রেকর্ড গড়তে চায় কৃষি মন্ত্রণালয়।
বুধবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, আগামী বুধবার চীনে প্রথমবারের মতো প্রায় ৫০ টন আম রপ্তানি করবে বাংলাদেশ। এছাড়াও কাঁঠাল ও লিচু রপ্তানির বিষয়েও ভাবছে সরকার।
কৃষি সচিব বলেন, দেশভিত্তিক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে কীভাবে আমের রপ্তানি বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ। গত বছর ধান আমদানি করতে হলেও, এ বছর আর তা প্রয়োজন হচ্ছে না।
ড. এমদাদ উল্লাহ বলেন, ডলার সংকটের কারণে এক সময় সারের ঘাটতি ছিল, তবে এখন সেই সমস্যা নেই। সরকার নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও এই সংকটের সফল সমাধান করেছে। স্মরণকালের মধ্যে এবারই সবচেয়ে বেশি শাকসবজি উৎপাদন হয়েছে এবং নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা দিতে কাজ করছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
সরকার কৃষি খাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, একটি মহাপরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। কৃষিকে জনপ্রিয় করতে অ্যাপসের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এছাড়াও বিমান ভাড়া কমানোর লক্ষ্যে কার্গো বিমান ব্যবস্থার বিষয়ে সিভিল এভিয়েশনের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
তিনি বলেন, আমাদের ডেল্টা প্ল্যান রয়েছে, সেখানে আমাদের কৃষিকে অঞ্চলভিত্তিক ছয়টি হটস্পটে ভাগ করা হয়েছে। ছয়টি হটস্পটকে আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পর্যায়ে পর্যালোচনা করে দেখেছি। যে নতুনত্বের কথা বলা হচ্ছে, মূল সংযোজন কীভাবে করা যায় এবং কীভাবে অগ্রসর হলে কৃষির সার্বিক উন্নয়ন হবে, সেটিকে আমরা নয়টি থিমেটিক এরিয়ায় শনাক্ত করেছি।
নয়টি থিমেটিক এলাকায় ২৫টি উপখাত নিয়ে ভাবনার কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, যদি এগুলোকে বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে বিভিন্ন রকমের পরিকল্পনা ও প্রকল্পের প্রয়োজন। এজন্য সরকারি-বেসরকারি খাতের সমন্বয়ের প্রয়োজন রয়েছে। যদিও সেটা করতে গিয়ে আমাদের স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি নির্দিষ্ট কাঠামোগত পরিকল্পনা এখনো তৈরি করতে পারিনি। সেটি নিয়েই আমরা কাজ করছি।
এখন আমরা ২৫ বছরের একটি দীর্ঘমেয়াদি কৃষি কৌশলগত পরিকল্পনা বা পারসপেক্টিভ প্ল্যানের উন্নয়ন ঘটাতে চাই। ২০৫০ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর জনসংখ্যা কত বাড়ছে সেটি হিসাব করে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো বা বিভাগগুলো মৌলিক খাদ্য নিশ্চিতের জন্য যে কাজগুলো করে থাকে তার আইটেমগুলো শনাক্ত করে সেগুলোর চাহিদাকে শনাক্ত করতে চাই, যোগ করেন কৃষি সচিব।
কালের আলো/এসএকে