খুনি ব্রেন্টনও জঙ্গি-সন্ত্রাসী: নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 11:36 pm | March 19, 2019

কালের আলো ডেস্ক:

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে হামলকারী ব্রেন্টন ট্যারেন্ট খ্রিস্টান এবং পশ্চিমা দেশের মানুষ হওয়া সত্ত্বেও তাকে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদী আখ্যায়িত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন।

তিনি জানিয়েছেন, তাকে নিউজিল্যান্ডের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির মুখোমুখি করা হবে। এর মাধ্যমে হতাহতদের পরিবার ন্যায়বিচার পাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। হামলার ভিডিও ফুটেজ এখনও ফেসবুকে থেকে যাওয়ারও কড়া সমালোচনা করেন কিউই প্রধানমন্ত্রী।

সোমবার নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্ট অধিবেশন শুরুর আগে ক্রাইস্টচার্চ হামলায় নিহতদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়। তাদের রূহের মাগফিরাত কামনায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের পর প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন ইসলামী রীতি মেনে সালাম দিয়ে শুরু করেন তার বক্তব্য।

শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে মসজিদে হামলার মতো কোনো ঘটনা আগামীতে যেন আর না ঘটে এজন্য অস্ত্র আইন দ্রুত পরিবর্তনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। আগামী সোমবারের আগে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে বলেও জানান জাসিন্ডা।

তিনি বলেন, ‘২৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ার ওই খুনি একজন জঙ্গি, একজন সন্ত্রাসী। সে একজন উগ্রবাদী। তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। আরও কিছু অভিযোগ আনা হবে, যার প্রক্রিয়া চলছে। আদালতে সে নিজেই নিজের পক্ষে আইনি লড়াই লড়তে চায়, তবে সে যাই করুক না কেন আমাদের পক্ষ থেকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। নিউজিল্যান্ডের আইন অনুযায়ী তার সর্বোচ্চ সাজার ব্যবস্থা করা হবে। যাতে হতাহতদের পরিবার ন্যয় বিচার পায়।’

এদিকে ঘটনার চারদিন পেরোলেও হামলার ভিডিও ফুটেজ এখনও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রয়ে যাওয়ার কড়া সমালোচনাও করেন তিনি। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে, ১৫ লাখ ভিডিও সরিয়ে নিয়েছে, তবে এখনও এটি পাওয়া যাচ্ছে বলে সাংবাদিকদের জানান কিউই প্রধানমন্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে তিনি ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান বলেও জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র পরামর্শও নিয়েছেন জাসিন্ডা।

এছাড়া ভিডিওটি শেয়ারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণাও এসেছে নিউজিল্যান্ড সরকারের পক্ষ থেকে। নিষিদ্ধ করা ভিডিও ছড়ানোর দায়ে দশ হাজার ডলার জরিমানার পাশাপাশি ১৪ বছর কারাদণ্ড দেয়ার কথা জানিয়েছেন দেশটির প্রাইভেসি কমিশনার জন এডওয়ার্ডস। এজন্য শেয়ারকারীদের নাম ও তথ্য দিতেও ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানান তিনি।

এদিকে, মসজিদে হামলার ঘটনায় ৫০ জন নিহত ছাড়াও আহতদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা গুরুতর। যার মধ্যে চার বছরের এক শিশুর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে এবং তার বাবাকে অকল্যান্ডের হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

কালের আলো/এমএইচএ

Print Friendly, PDF & Email