সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় সশস্ত্র বাহিনী, ডিএসসিএসসির অনস্বীকার্য ভূমিকার প্রশংসায় সেনাপ্রধান
প্রকাশিতঃ 10:03 pm | November 28, 2024
বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:
দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনী দেশের যেকোন দুর্যোগে বড় বন্ধু। জাতির কল্যাণে নিবেদিত সশস্ত্র বাহিনী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও নিষ্ঠা ও দক্ষতার পরিচয় দিয়ে বিশ্বপরিমণ্ডলে উজ্জ্বল করেছে দেশের ভাবমূর্তি। অন্তর্বর্তী সরকার সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়ন নিশ্চিত করেছে। ঘটিয়েছে আধুনিক প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামাদির সমন্বয়।
পাশাপাশি সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি) সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যম পর্যায়ের নির্বাচিত অফিসারদেরকে কমান্ডার ও স্টাফ হিসেবে ভবিষ্যতের গুরু দায়িত্ব পালনে দক্ষ করে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। ফলে ডিএসসিএসসির অনস্বীকার্য ভূমিকার প্রশংসা করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকায় মিরপুর সেনানিবাসের ডিএসসিএসসি মিলনায়তনে সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজের (ডিএসসিএসসি) কোর্স-২০২৪ এর গ্র্যাজুয়েশন সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশী ও বিদেশী সামরিক কর্মকর্তাদের কৌশলগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা উন্নয়নে ডিএসসিএসসির ভূমিকা অনস্বীকার্য। গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্নকারী অফিসারদেরকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি তাদের এই কোর্সে অর্জিত প্রজ্ঞা, সংকল্প ও পরিকল্পনাকে জাতির অগ্রগতিতে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন।
সেনাপ্রধান সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজের কমান্ড্যান্টকে ডিএসসিএসসি কোর্স-২০২৪ এর সফল সমাপ্তির জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিএসসিএসসি’র কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল চৌধুরী মোহাম্মদ আজিজুল হক হাজারী। তিনি কলেজের অগ্রগতি ও বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের পেশাগত উন্নয়নে সেনাবাহিনী প্রধানের অব্যাহত সহায়তা ও সনদপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে তাঁর সদয় উপস্থিতির জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ডিএসসিএসসি’র কমান্ড্যান্ট তাঁর বক্তব্যে আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই কোর্সে অংশগ্রহণকারী অফিসাররা আধুনিক সশস্ত্র বাহিনী পরিচালনায় একতা, বন্ধন ও ভ্রাতৃত্ববোধের ভিত্তিতে অবদান রাখবে এবং তাদের অর্জিত জ্ঞানকে বিস্তৃত করবে।
আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, চলতি বছর ডিএসসিএসসি কোর্স- এ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৪১ জন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৪০ জন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ২৬ জন, বাংলাদেশ পুলিশের ৩ জন এবং চীন, জার্মানী, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জর্ডান, কেনিয়া, কুয়েত, লাইবেরিয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মালি, নেপাল, নাইজেরিয়া, ওমান, পাকিস্তান, ফিলিস্তিন, সৌদি আরব, সিয়েরা লিওন, দক্ষিন আফ্রিকা, দক্ষিন সুদান, শ্রীলংকা, তানজানিয়া, তুরস্ক, উগান্ডা ও জাম্বিয়া থেকে আগত ৫৭ জন অফিসারসহ ২৬৭ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন। উল্লেখ্য যে, এই বছর মোট ১৩ জন নারী অফিসার গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন।
আইএসপিআর আরও জানায়, সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই পর্যন্ত সর্বমোট ৬৫০৩ জন অফিসার এই প্রতিষ্ঠান হতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়েছেন; তন্মধ্যে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ৫০৭৯ জন, ১৭ জন পুলিশ অফিসার এবং ৪৫টি বন্ধুপ্রতিম দেশের মোট ১৪০৭ জন বিদেশী সশস্ত্র বাহিনীর অফিসার এই প্রতিষ্ঠান থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান, উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কালের আলো/এমএএএমকে